ফুটপাতের পুরোটাই দখল করে নিয়েছিলেন দোকানদারেরা। ফুটপাত ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে গিয়েছিলেন হকারেরা। ফলে রাস্তার পরিসর কমে গিয়েছিল অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও মুহূর্তেই দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করেছিলেন বাসিন্দারা। বাস্তবে ঘটলও তাই। গত ১৬ জুলাই রাতে গার্ডেনরিচ রোডে লরির ধাক্কায় প্রাণ হারান এক মোটরসাইকেল আরোহী এবং তাঁর বছর তিনেকের এক শিশুকন্যা।
শিশু-সহ এক ব্যক্তিকে চোখের সামনে পিষ্ট হতে দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতার দখলে চলে যায় গার্ডেনরিচ রোডের একাংশ। ক্ষিপ্ত জনতার অভিযোগ, ব্যবসায়ী এবং হকারদের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি রাস্তা জুড়ে বেআইনি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে বাস। সে কারণেই ওই দিন জনতার রোষে জ্বলতে দেখা গিয়েছিল পার্কিংয়ে থাকা একের পর এক বাস।
এই একটা ঘটনাই বদলে দিল রাস্তার ছবি। সম্প্রতি পুলিশ রাস্তা থেকে হকারদের সরে যেতে বলে। রাস্তার দু’ধারের ব্যবসায়ীদের ফুটপাত থেকে জিনিস সরিয়ে নিতেও বলা হয়। শুধু এক দিন উচ্ছেদ করে আর দোকান সরিয়েই অবশ্য ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। প্রতিদিন ওই রাস্তার পরিস্থিতির উপরে নজরদারি চালাতে তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটি।
পুলিশ জানিয়েছে, এটা কোনও নতুন প্রকল্প নয়। ২০১৭ সালে পুজোর পরে এলাকার হকার ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, সকলের সঙ্গেই কথা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যানশাসন স্বাভাবিক রাখতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার উপর থেকে দোকান সরাতে হবে।
গত ১৬ জুলাই রাতে দুর্ঘটনার পরেও উত্তেজিত জনতার দাবি ছিল, রাস্তা থেকে দোকান এবং বাস সরাতে হবে। তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ডিসি (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রাজা জানিয়েছেন, ট্র্যাফিকের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই হকারদের সঙ্গে কথা বলেই তাঁদের দোকানগুলি রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে এবং আয়তনে ছোট করতে বলা হয়েছে। পুলিশের
তরফে করা সেই আবেদনে ব্যবসায়ী মহল থেকে সাড়াও মিলেছে বলে তিনি জানান।