সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির- নিজস্ব চিত্র
মাদকপাচার রুখতে নতুন আইন আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু গ্রেফতার করে যে মাদকচক্রের কর্মকাণ্ডে লাগাম টানা সম্ভব নয়, তা বুঝেছে কেন্দ্র। তাই নতুন আইনে সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্তের ক্ষমতা দেওয়া হবে পুলিশকে।
শুক্রবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহিরের নিজেই এ কথা জানালেন। তিনি বলেন, “যুব সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। তার জন্য এক দিকে যেমন অভিযান চলবে, তেমনই চলবে সচেতনতা প্রচারও। সব রাজ্যকেই একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। আইনেরও বদল আনতে হবে।”
এ দিন সল্টলেকে সিআরপিএফ-এর ক্যাম্পে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহারের পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। কী ভাবে মাদক বিরোধী অভিযান চলবে, তা নিয়ে আলোচনাও হয়। সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার রুখতে রূপরেখা ঠিক করে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:‘কত লোকই তো রোজ আসেন’, রাহুল বেরোতেই বিরক্তি সৌমিত্রের গলায়
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “শুধু গ্রেফতার করলেই হবে না, যারা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত তাদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হবে। এমনকি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও স্তব্ধ করা হবে। অর্থের জোগান বন্ধ হলেই দ্রুত সাফল্যও আসবে। এনসিবি-র পাশাপাশি মাদকের তদন্তে সাহায্য নেওয়া হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরও।” নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদকের আদানপ্রদান হয়। তার মধ্যে মায়ানমার সীমান্ত দিয়েই ইয়াবা, চরস, গাঁজা, হেরোইন জাতীয় মাদক বেশি পাচার তথ্য উঠে এসেছে এনসিবির হাতে।
ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশেগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিবি-র ডিজি অভয়। তাঁর কথায়, ‘‘যৌথ ভাবে মাদকবিরোধী অভিযানে সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন। আলোচনায় বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে। যৌথভাবেই আমরা মাদকবিরোধী অভিযানে এগিয়ে যাব।’’ তিন রাজ্যের দায়িত্বে থাকা পূর্বাঞ্চলের জোনাল ডিরেক্টর দিলীপকুমার শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার অভিযান চলেছে। বহু মাদকপাচারকারী ধরাও পড়েছে।’’