KMC

ফুড সেফটি অফিসারের নয়া তালিকা

ফুটপাতে খাবার বিক্রি করেন যাঁরা, তাঁদের বড় অংশ এখনও নথিভুক্ত নন। ফলে তাঁরা লাইসেন্স প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০২:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে অভিযান, খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করা, তাঁদের লাইসেন্স-দেওয়া সহ একাধিক কাজের জন্য কলকাতা পুরসভার বরোভিত্তিক ফুড সেফটি অফিসারেরা আছেন। তাঁরাই বরোর অধীনস্থ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওই কাজগুলি করেন। সম্প্রতি ওই অফিসারদের নতুন তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পুরসভার প্রস্তাবিত সেই তালিকাকে অনুমোদন দিয়েছে ‘অফিস অব দ্য কমিশনার অব ফুড সেফটি’। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘১৬ জন ফুড সেফটি অফিসারকে ১৬টি বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

যদিও প্রশাসনের একাংশের প্রশ্ন, তালিকা প্রকাশ হলেও ফল মিলবে কি? তাঁদের বক্তব্য, মাঝেমধ্যে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে অভিযান হলে খাবারের গুণমান বজায় রাখতে কড়াকড়ি হয়। কিন্তু কিছু দিন পরেই ফেরে পুরনো ছবি। তা ছাড়া এই অভিযান অধিকাংশ ক্ষেত্রে শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় হয়। ফুটপাতে খাবার বিক্রি করেন যাঁরা, তাঁদের বড় অংশ এখনও নথিভুক্ত নন। ফলে তাঁরা লাইসেন্স প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, ২০০৬’-এর ৩১ (২) ধারা অনুযায়ী খাদ্য ব্যবসায়ীরা পুরসভায় নথিভুক্তিকরণে বাধ্য থাকবেন। তাঁদের খাবারের গুণমান বজায় রাখা ও সরবরাহে নিয়ম মানতে হবে। ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস (লাইসেন্সিং অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব ফুড বিজনেসেস) রেগুলেশন্‌স, ২০১১’-এর ধারা অনুযায়ী পুর অফিসারেরাই এ ক্ষেত্রে ‘রেজিস্টারিং অথরিটি’। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের নথিভুক্তিকরণ, তাঁদের লাইসেন্স দেওয়ার সব কাজই করবেন তাঁরা। যদিও এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘এক-এক জন ফুড সেফটি অফিসারকে গড়ে ৯টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব সামলাতে হয়। ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে যে পরিকাঠামোর দরকার ছিল, তা নেই। পুরো প্রক্রিয়ায় ফাঁক থেকে যাচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন