প্রতীকী ছবি।
তীব্র গরমে পথ চলতে কষ্ট হচ্ছে! কিন্তু কোথায় যে খানিক জিরিয়ে নেওয়া যায়, সেটাই বুঝতে পারছেন না পথচারী। আশপাশে গাছ আছে ঠিকই, কিন্তু তার নীচে বসার মতো জায়গা নেই।
এই ছবিটাই এ বার বদলাতে চলেছে নিউ টাউনে। পথের ধারে কংক্রিটের বিশ্রামাগার করতে রাজি নয় ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)। বরং পরিকল্পিত ভাবে গাছ লাগিয়ে সেই গাছের ছায়ায় বিশ্রামের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছে ওই সংস্থা।
কর্মসূত্রে নিউ টাউনে যাতায়াত করেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা সন্দীপন মিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘জনবসতি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড, নিউ টাউনে দুটোই বেড়েছে। তাই সেখানে মানুষের যাতায়াতও বেড়েছে। নিউ টাউন জুড়ে পরিকল্পনা মাফিক রাস্তা হয়েছে। কিন্তু এই গরমে কেউ যদি ভাবেন, রোদ থেকে কিছু ক্ষণের জন্য ছায়ায় বিশ্রাম নেবেন, তার উপায় কম।’’
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক থেকে শুরু করে ইকো পার্ক, সেভেন ওয়ান্ডার্স— নিউ টাউনে বিনোদনেরও রকমারি ব্যবস্থা রয়েছে। মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধির সেটাও একটি কারণ। তবে এলাকাবাসীর বক্তব্য, নিউ টাউনের সর্বত্র লোকজনের বসবাস শুরু হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন পরিকাঠামোর তৈরির কাজ করে চলেছে। রাস্তার ধারে শারীরচর্চারও ব্যবস্থা হয়েছে। তার পাশাপাশি এই গরমের কথা মাথায় রেখে সেখানে কয়েকটি বিশ্রামাগার তৈরি করা খুবই দরকার।
এনকেডিএ-র অবশ্য দাবি, নিউ টাউনকে ‘গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর তারা। তাই পরিকল্পিত ভাবে বনসৃজন ও সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারই অঙ্গ এই বিশ্রামাগার।
এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, নিউ টাউনে প্রায় ৩৬ হাজার গাছ রয়েছে। ওই সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘গাছের ছায়ার থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। তাই ছ’ফুটের বেশি উচ্চতার গাছের তলায় মানুষ যাতে বিশ্রাম নিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
নিউ টাউনে বিভিন্ন আকারের কাঠামোর সঙ্গে গাছ লাগানো হচ্ছে। সেই সব কাঠামোর নীচে মানুষ বিশ্রাম নিতে পারবেন, আবার গাছের ছায়াও পাবেন। ইতিমধ্যে অ্যাকশন এরিয়া ১-এর একটি পার্কে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, এ বছর তিনটি জায়গায় ওয়াটার এটিএম চালু করা হয়েছে নিউ টাউনে। আগে একটি ছিল। এনকেডিএ-র এক কর্তা বলেন, ‘‘গরমে পথচারীদের কষ্ট লাঘব করতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে কাজ চলছে।’’