রজত দে এবং তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা পাল।
নিউ টাউনে আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা পালকে ফের ছ’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বারাসত আদালত।
সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে অনিন্দিতা যখন আদালতে ঢুকছেন, তখন তাঁর শরীরী ভাষা ছিল স্বাভাবিক। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলেন, ‘‘আমি খুন করিনি।’’
অনিন্দিতার আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগ আদালতে অভিযোগ করেন, আট দিন ধরে অনিন্দিতাকে নিজেদের হেফাজতে পেয়ে পুলিশ গল্প তৈরি করেছে এবং তাঁর মক্কেলকে দিয়ে তা স্বীকার করানোর চেষ্টা করেছে। তাঁর মক্কেলকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আদালতের বাইরে তিনি জানান, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত। আদালতে সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় দাবি করে, এই অভিযোগ ঠিক নয়।
চন্দ্রশেখর আদালতে অভিযোগ করেন, অনিন্দিতার সঙ্গে তাঁর দেড় বছরের সন্তানকেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাই তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। অনিন্দিতা বিচারকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে বলা হচ্ছে, তাঁর বাবাকে জেলে ও সন্তানকে হোমে পাঠানো হবে।
সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, তদন্ত একেবারে প্রাথমিক স্তরে। অভিযুক্ত বারবার বয়ান বদল করছেন। তা সত্ত্বেও তদন্তে নতুন কিছু সূত্র উঠে আসছে। তাঁর দাবি, অনিন্দিতা গুগলে যা যা ‘সার্চ’ করেছিলেন, তার রেকর্ডও একটা সূত্র হিসেবে উঠে এসেছে। তবে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আরও জি়জ্ঞাসাবাদ এবং সর্বোপরি ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য আরও ছ’দিন দরকার বলে জানান তিনি।
সূত্রের খবর, ওই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে রজতের ঘর থেকে মোবাইল চার্জার ছাড়াও বিছানার চাদর, সিলিং ফ্যান, অভিযুক্ত ও তাঁর এক আত্মীয়ার মধ্যে হোয়াট্সঅ্যাপে কথাবার্তার স্ক্রিনশট এবং একটি মোবাইল ফোনও প্রমাণ হিসেবে আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ।