লিলুয়ায় শ্রমিকদের জন্য তৈরি হচ্ছে রাত্রিবাস

এঁরা পেশায় সকলেই মজুর। স্থানীয় লোহার বাজারে তাঁরা লোহা তোলার কাজ করেন। ভিন্‌ রাজ্যের এই মানুষদের রাতে ও দুপুরে শুয়ে থাকতে দেখা যায় জিটি রোডের উপরেই।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০০:৫১
Share:

এঁরা পেশায় সকলেই মজুর। স্থানীয় লোহার বাজারে তাঁরা লোহা তোলার কাজ করেন। ভিন্‌ রাজ্যের এই মানুষদের রাতে ও দুপুরে শুয়ে থাকতে দেখা যায় জিটি রোডের উপরেই। মাঝেমধ্যেই গাড়ির ধাক্কায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগে থাকে। এ বার পরিবর্তন হতে চলেছে। এঁদের জন্য লিলুয়ায় তৈরি হচ্ছে রাত্রিবাস।

Advertisement

রাস্তার উপরেই গামছা পেতে প্রায় ৪০ জন শ্রমিক, মজুরের বিশ্রাম নেওয়ার এই চেনা ছবি দেখা যায় হাওড়া পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের জায়সবাল হাসপাতালের পাশেই। স্থানীয় কাউন্সিলর কৈলাশ মিশ্র জানান, এশিয়ার বৃহত্তম লোহার বাজার বজরংবলীর উল্টো দিকে জিটি রোডের উপরেই প্রায় সাড়ে ছয়শো স্কোয়্যার ফুট জায়গার উপরে তৈরি হচ্ছে এই রাত্রিবাস।

এসবেসটসের ছাউনি দেওয়া ঘরের ভিতরে থাকবে খাট, বিছানা, পাখা। থাকবে পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থাও। স্থানীয়েরা জানান, রাস্তার ধারে মজুরেরা শুয়ে থাকার পাশাপাশি ঠেলা গাড়ি, ভ্যান রিকশা পার্কিং করে রাখতেন। ফলে সঙ্কীর্ণ জিটি রোড আরও সরু হয়ে যেত। আবার জিটি রোডের উপর শুয়ে থাকা মানুষকে বাঁচিয়ে চলতে গিয়ে যানবাহনের জট লেগে যেত। কয়েক বার পুলিশের তরফে ওই মজুরদের রাস্তার শুয়ে থাকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভ্যান, ঠেলা-র পার্কিং হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক মজুরের কথায়, ‘‘পুলিশ তাড়িয়ে দিলেও কয়েক দিন পরে আবার আসতাম। কি করবো ঘর ভাড়া নেওয়ার মতো ক্ষমতা তো আমাদের নেই।’’

Advertisement

কৈলাশ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে রাতে মাথা গোঁজার জন্য জায়গা দিতে হবে। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই রাত্রিবাস বানানো হচ্ছে।’’ তবে যে কেউ ঢুকতে পারবেন না। যাঁরা থাকবেন তাঁদের জীবনপঞ্জী স্থানীয় থানায় জমা থাকবে। তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে শুধু মাত্র তাঁরাই রাত্রিবাস ব্যবহার করতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন