দেরি হয়ে গিয়েছে স্টেশনে পৌঁছতে? টিকিটের লম্বা লাইন? অথবা মান্থলি রিনিউ করা হয়নি? কোনও সমস্যা নেই আর। লাইনে না দাঁড়িয়েই লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে এ বার থেকে। রেল শুক্রবার সেই ব্যবস্থাই চালু করল। শুধু হাতে রাখতে হবে একটা স্মার্ট ফোন। রেলের টিকেটিং অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা থাকলে স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই টিকিট পৌঁছে চলে আসবে হাতে।
অসংরক্ষিত টিকিটের জন্যই রেল এই অ্যাপ তৈরি করেছে। ডব্লুডব্লু়ব্লু ডট ইউটিএসঅনমোবাইল ডট ইন্ডিয়ানরেল ডট গভ ডট ইন— এই লিঙ্কে ঢুকে স্মার্ট ফোনে ডাউনলোড করা যাচ্ছে রেলের নতুন টিকেটিং অ্যাপ। ফোনে এই অ্যাপ ইনস্টল করার পর নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং পরিচয়পত্রের নম্বর নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে সাইন ইন করতে হবে অ্যাপে। এক বারই সাইন ইন। তার পর থেকে রোজ আর সাইন ইন করার দরকার নেই। এই অ্যাপে সাইন ইন করার সঙ্গে সঙ্গেই জিরো ব্যালান্সের আর-ওয়ালেট খুলে যাবে গ্রাহকের নামে। সেই আর-ওয়ালেট রিচার্জ করে নিতে হবে গ্রাহককে। রেলের রিচার্জ কাউন্টার থেকেই তা করতে হবে। ন্যূনতম ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকার রিচার্জ করা যাবে। এটুকু করে নিলেই কাজ শেষ। রেল স্টেশনের ২ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছলেই অ্যাপ কাজ করতে শুরু করবে। তখন অ্যাপে ঢুকে নির্দিষ্ট জায়গায় যাত্রাপথ ও গন্তব্যের বিবরণ লিখে সাবমিট করলেই টিকিট চলে আসবে স্মার্টফোনে। আর-ওয়ালেটের ব্যালান্স থেকে কেটে নেওয়া হবে টিকিটের দাম।
বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে অটোম্যাটিক টিকেট ভেন্ডিং মেশিন চালু হয়েছে আগেই। কিন্তু সেই মেশিনের সামনেও টিকিটের লাইন থাকে অনেক সময়। শুধু তাই নয়, সেই মেশিন থেকে টিকিট কাটতে হলেও আগে স্টেশনে পৌঁছনোর দরকার। নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলে সে সমস্যাও থাকছে না। বাড়ি থেকে বেরোতে দেরি হয়ে গেলে স্টেশন পৌঁছনোর পথে রিক্সা বা অটোতে বসেই কেটে নেওয়া যাবে টিকিট। একজন গ্রাহক এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চার জনের টিকিট কাটতে পারবেন।
রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু শুক্রবার এই টিকেটিং অ্যাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন। এই নতুন ব্যবস্থায় প্ল্যাটফর্ম টিকিট অবশ্য এখনই সব স্টেশনে পাওয়া যাবে না। আপাতত হাওড়া, শিয়ালদহ, দমদম জংশন, ব্যান্ডেল, বর্ধমান ও নৈহাটি স্টেশনে এই অ্যাপ থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটা যাবে।