শব্দের দাপটে ‘কাঁপছে’ দমদম

ডিসেম্বর মাস থেকেই মেলা, উৎসব থেকে শুরু করে রকমারি অনুষ্ঠান চলছে সর্বত্র। দমদমেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। খাদ্যমেলা, পরিবেশ মেলা, পাখি উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, আনন্দমেলা, বইমেলা, বাউল মেলা, পৌষপার্বণ উৎসব, দমদম উৎসব ইত্যাদি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাত সাড়ে আটটা। জানলা-দরজা বন্ধ। তবুও চার পাশের উৎসবে শব্দের দাপাদাপিতে পড়াশোনা শিকেয়।

Advertisement

এমনই ছবি দমদমের বেশ কিছু অঞ্চলে। লিখিত অভিযোগ না থাকলেও বাসিন্দাদের সমস্যার কথা পৌঁছেছে প্রশাসনের কাছেও। দক্ষিণ দমদম এবং দমদম পুরসভা জানিয়েছে, সরকারি অনুষ্ঠানের জেরে শব্দ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সব অনুষ্ঠান চলছে, সেখানেও শব্দ নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুরকর্তৃপক্ষ।

ডিসেম্বর মাস থেকেই মেলা, উৎসব থেকে শুরু করে রকমারি অনুষ্ঠান চলছে সর্বত্র। দমদমেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। খাদ্যমেলা, পরিবেশ মেলা, পাখি উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, আনন্দমেলা, বইমেলা, বাউল মেলা, পৌষপার্বণ উৎসব, দমদম উৎসব ইত্যাদি। এই সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তার প্রচারের জন্য সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানের জন্য শব্দ দৌরাত্ম্য ঘটছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, অনেক ক্ষেত্রে দিনের বেলাতেও মাইকে অনুষ্ঠানের প্রচার চলছে।

Advertisement

এ দিকে, সামনেই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে আইসিএসই, সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। পড়াশোনার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু এখনও প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। কারণ বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, অভিযোগ জানালে সমস্যা বাড়বে।

দমদমের মতো বিধাননগরেও শীতে নানা অনুষ্ঠান থাকে। তবে ব্লক কিংবা ওয়ার্ডের অনুষ্ঠান হয় কম সময়ের জন্য। কেন্দ্রীয় ভাবে স্থায়ী প্রাঙ্গণেই অধিকাংশ মেলা বা উৎসব আয়োজিত হয়। দমদম এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিধাননগরের মতো কেন্দ্রীয় ভাবে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করুক প্রশাসন। তবে অভিযোগ, রকমারি অনুষ্ঠানের প্রচারকে কেন্দ্র করে মাইকের ব্যবহারও সমস্যা বাড়ায়। ফলে অনুষ্ঠান হলেও যাতে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তেমন পরিকল্পনা করেই আয়োজনের দাবি বাসিন্দাদের। প্রশাসনের বক্তব্য, বিধাননগরের মতো পর্যাপ্ত জায়গা দমদমে নেই। তাই উৎসবের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা এখনই তৈরি করা যাচ্ছে না। তবে শব্দ দৌরাত্ম্য বন্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলেই আশ্বাস মিলেছে।

সমস্যার কথা মেনে নিয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, সরকারি অনুষ্ঠানে শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, দিনের বেলায় উৎসব প্রাঙ্গণের বাইরে মাইকের ব্যবহার কমানো হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে রাতের অনুষ্ঠানে শুধু উৎসব প্রাঙ্গণেই সাউন্ড বক্স বাজছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন