যাত্রা শুরু। রবিবার। — স্বাতী চক্রবর্তী
কলকাতার গতি যতই বাড়ছে, ততই পিছিয়ে পড়ছে মন্থর গতির ট্রাম। কিন্তু বছর পাঁচেকের কৌস্তুভের সাধ ট্রামে চেপে কলকাতা দেখার। তা-ও আবার একা নয়, বাড়ির সক্কলকে নিয়ে। ছেলের আবদার রাখতেই ট্রাম নিয়ে ভাবনা শুরু তপসিয়ার এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও রুমি সেনাপতির। সেই ভাবনা দিনের আলো দেখল রবিবার, ২০১৭ সালের প্রথম দিন। সরকারি ট্রাম ভাড়া করে শহরের একাংশ ঘুরিয়ে দেখানোর পরিকল্পনা শুরু করলেন রুমি। ধর্মতলা থেকে ঐতিহাসিক কলকাতা ঘুরিয়ে দেখানোর ভাবনায় এখন রুমির শরিক শহরের একটি বেসরকারি হোটেলও।
দু’ঘণ্টার ট্রাম সফরের প্যাকেজ পাঁচশো টাকার। খাওয়ায় থাকছে পুরনো কলকাতার ছোঁয়া। পাটিসাপটা, নলেন গুড়ের সন্দেশ, মাছ আর ভেজিটেবল চপ। ট্রামের ভিতরে রাখা পেল্লাই এলইডি স্ক্রিন। ঘুরতে ঘুরতেই স্ক্রিনে ফুটে উঠছে পুরনো কলকাতার ভিক্টোরিয়া, ফোর্ট উইলিয়ামের মতো সৌধ। বারুইপুর থেকে সপরিবারে আসা অমিতাভ দত্তের কথায়, ‘‘পিছনের সারিতে চলে যাওয়া কোনও যানকে এ ভাবে বিদেশে অনেক জায়গাতেই জনপ্রিয় করা হয়েছে। কলকাতাতেও যে তেমন উদ্যোগ শুরু হয়েছে দেখে ভাল লাগছে।’’
পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে আগেই কলকাতায় পর্যটকদের নিয়ে এমন ট্রাম-সফর শুরু হয়েছে। সে অর্থে রুমিদেবীদের প্রচেষ্টা প্রথম বেসরকারি উদ্যোগ। তিনি জানান, ভিন্ রাজ্য বা দেশ থেকে আসা পর্যটকেরাই তাঁদের প্রধান খদ্দের। ট্রাম চলবে সন্ধ্যায়। তাতে স্থান মাহাত্ম্যের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকেরা বাঙালি খাবারে কামড় দিয়ে দেখবেন শহরের আলোর রোশনাইও।