জটিল হৃদ্‌রোগের চিকিৎসায়

এ রাজ্যের হৃদ্‌রোগীদের বিশেষত হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের মতো অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ভরসা করতে হয় ভিন্ রাজ্যের উপরেই। কলকাতা, এমনকী পূর্ব ভারতের কোনও হাসপাতালে হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট হয় না। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এর অন্যতম কারণ, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে রোগীর কোন ধরনের হৃদ্‌যন্ত্র প্রয়োজন সে বিষয়ে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য থাকে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৫:২৮
Share:

এ রাজ্যের হৃদ্‌রোগীদের বিশেষত হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের মতো অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ভরসা করতে হয় ভিন্ রাজ্যের উপরেই। কলকাতা, এমনকী পূর্ব ভারতের কোনও হাসপাতালে হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট হয় না। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এর অন্যতম কারণ, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে রোগীর কোন ধরনের হৃদ্‌যন্ত্র প্রয়োজন সে বিষয়ে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য থাকে না।

Advertisement

এ বার হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রে সর্বাধিক উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পথে প্রথম ধাপ পেরিয়ে গেল কলকাতা। শনিবার এক বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এমন এক হাসপাতালের উদ্বোধন করে সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘এই প্রচেষ্টা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ বেসরকারি এই হার্ট ফেলিওর ক্লিনিকের দাবি, হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার পরেও তাঁরা রোগীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। চিকিৎসকেরা জানান, হৃদপিণ্ডের সমস্যার সমাধানের পরেও চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন। হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী পাল বলেন, এই সমস্যায় অনেকের ওজন বেড়ে যায়, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যান, হাত-পা ফুলে যায়। কিন্তু সেগুলিকে তাঁরা গুরুত্ব দেন না। এগুলি হার্ট ফেলিওরের উপসর্গ। নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে বড় অঘটন ঘটবে না।

হাঁটু প্রতিস্থাপন নিয়ে। বয়স পঞ্চাশ না পেরোতেই হাঁটুর ব্যথায় পঙ্গু হওয়ার জোগাড়। অনেকেই তখন কেরিয়ারের মধ্যগগনে বা সংসারের প্রধান রোজগেরে। স্বাভাবিক ভাবে দিশেহারা অবস্থা হয়। হাঁটু প্রতিস্থাপন করেও ফল পান না অনেকে। এর দিকে নজর রেখেই চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে শুরু হয়েছে ‘থ্রি ডি নি রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি।’ হাসপাতালের সিনিয়ার অর্থোপেডিক সার্জন নাবালাদি শঙ্কর জানালেন, ভিটামিন ই পলি-ব্লেন্ডেড এক ধরনের কৃত্রিম হাঁটু তৈরি করা হয়েছে। ভিটামিন ই হল ‘অ্যান্টি অক্সিডেন্ট’। ফলে হাঁটু হয় স্থিতিস্থাপক ও শক্তিশালী। দ্রুত হাঁটাও যায়। এর ক্ষয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement