৪৮ বস্তা সরকারি চাল লুট, ধৃত পাঁচ

উদ্ধার হয়েছে উধাও হয়ে যাওয়া চালও। মঙ্গলবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ৫ মার্চ পর্যন্ত চার ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এক জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’র (এফসিআই) গুদাম থেকে একে একে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল ৪৮ বস্তা চাল। প্রতিটি বস্তায় ছিল ৫০ কিলোগ্রাম করে চাল। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। কাশীপুর থানায় সোমবার রাতে অভিযোগ দায়েরের পরেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতারাতি গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। উদ্ধার হয়েছে উধাও হয়ে যাওয়া চালও। মঙ্গলবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ৫ মার্চ পর্যন্ত চার ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এক জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কাশীপুর রোডের এফসিআই গুদাম থেকে চালের বস্তা লুট হয়ে গিয়েছে বলে সোমবার রাতে অভিযোগ দায়ের করা হয় কাশীপুর থানায়। বিশাল এলাকা জুড়ে থাকা ওই গুদামে তল্লাশি চালিয়ে কর্তৃপক্ষ জানান, প্রায় ৪৮টি বস্তার হিসেব মিলছে না। এর পরেই নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ওই গুদামে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায় জেরাই মূল হাতিয়ার ছিল। অথচ সকলেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন। প্রদীপ মাইতি নামে গুদামের এক সাফাইকর্মীকে সন্দেহ হওয়ায় থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাঁর সূত্রেই চাল লুটের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ মেলে। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অন্য চার জনকে। ওই চার ধৃতের নাম কৌশিক সর্দার, অমর জয়সওয়ার এবং অমরের দুই ভাই আকাশ ও আমন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা প্রত্যেকে কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা। ছোটখাট কাজে যুক্ত। রাতেই তাঁদের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, অমরের বাড়িতে রাখা ছিল লুটের চাল।

Advertisement

মঙ্গলবার ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। প্রদীপকে জামিন দেন বিচারক। পুলিশ আদালতে জানায়, জেরায় ধৃতেরা দোষ কবুল করেছেন। শিয়ালদহ আদালতের সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চোরেদের সকলেই ধরা পড়েছে। জেরায় দোষ মেনে নিয়েছেন, লুট হওয়া চালও উদ্ধার হয়েছে। ফলে ধৃতদের নতুন করে আর পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের তরফে এই সরকারি গুদামঘরের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন