ঐত্রী।
ঐত্রী দে-র চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত থাকা মুকুন্দপুর আমরির তিন নার্সের রেজিস্ট্রেশন নেই। মঙ্গলবার এমনই দাবি করল ঐত্রীর পরিবার। এমনকি ঐত্রীকে যিনি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, সেই নার্স স্মূর্তি প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনীর নিয়োগপত্র নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে তাদের দাবি।
স্বাস্থ্য কমিশনে এ দিন ঐত্রী-মৃত্যুতে গাফিলতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তার চিকিৎসায় যুক্ত থাকা তিন জনের ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন নেই বলে দাবি করেছে ঐত্রীর পরিবার। অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে আমরি কর্তৃপক্ষের দাবি, তিন নার্স প্রশিক্ষিত এবং তাঁরা নিজেদের রাজ্যে নথিভুক্ত।
গত ৮ জানুয়ারি নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন স্মূর্তি। আদতে তিনি নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন ১৭ জানুয়ারি। ওই দিনেই মৃত্যু হয় ঐত্রীর। সে কারণে স্মূর্তির নিয়োগপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তার পরিবার। যদিও আমরির দাবি, ৮ জানুয়ারি কাজ শুরু করেন স্মূর্তি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। এ দিন শুনানি শেষে ঐত্রীর মা শম্পা দে বলেন, ‘‘স্মূর্তি আদৌ নার্সিং পাঠ্যক্রম পাশ করেছেন, তার প্রমাণ নেই।’’
ঘটনার পরে ঐত্রীর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আমরির ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর থেকে ‘বড় মস্তান’ কেউ নেই, এ কথা শম্পাকে বলেননি বলে দাবি করেছেন জয়ন্তী। তাঁর বক্তব্যের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সংবাদমাধ্যমের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখবে কমিশন।