পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত বৃদ্ধা

স্থানীয় ট্যাক্সিচালক বুদ্ধেশ্বর হালদার জানান, তিনিই প্রথম যামিনীদেবীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর কথায়, ‘‘অন্য দিনের মতোই সকালে গাড়ি পরিষ্কার করছিলাম আর চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি বৃদ্ধা পড়ে রয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫৭
Share:

দুর্ঘটনার আবাসন। নিজস্ব চিত্র।

পাঁচতলা আবাসনের সামনে থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার দেহ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বালিগঞ্জ থানা এলাকার ১৬এ/১ আর্লি স্ট্রিটের একটি আবাসনের সামনে এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি ওই আবাসনের একটি বহুতলের চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন। সকালে রাস্তা থেকে উদ্ধারের পরেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার নাম যামিনী দেশাই (৬৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গিরিশ দেশাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন যামিনীদেবী। সেখানে তাঁর ছেলে, নাতি ও পুত্রবধূও থাকেন। স্থানীয় ট্যাক্সিচালক বুদ্ধেশ্বর হালদার জানান, তিনিই প্রথম যামিনীদেবীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর কথায়, ‘‘অন্য দিনের মতোই সকালে গাড়ি পরিষ্কার করছিলাম আর চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি বৃদ্ধা পড়ে রয়েছেন।’’

Advertisement

ওই আবাসনের সামনেই ট্যাক্সিস্ট্যান্ড রয়েছে। ট্যাক্সিচালকদের একাংশ জানান, পাঁচতলা থেকে পড়ে গিয়েও মহিলার দেহ থেকে রক্তপাত হয়নি। কিন্তু হাত পা-সহ গোটা শরীর বেঁকে গিয়েছিল। এক চালকের কথায়, ‘‘ঘটনাটি দেখেই চিৎকার শুরু করেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই বহুতল থেকে কয়েক জন নেমে আসেন।’’ এর পরেই যামিনীদেবীর পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে তুলে উপরে নিয়ে চলে যান। প্রতিবেশীদের দাবি, গিরিশবাবু তাঁদের জানিয়েছেন, এ দিন সকালে কেয়ারটেকারের সঙ্গে ছাদে গিয়েছিলেন যামিনীদেবী। ছাদে গাছের ফুল তোলার জন্য কেয়ারটেকারকে উঁচু চেয়ার আনতে বলেছিলেন। কেয়ারটেকার চেয়ার আনার পরেই দেখেন, বিপত্তি ঘটে গিয়েছে।

তদন্তকারীরাও জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধা বাড়ির কেয়ারটেকারকে নিয়ে ছাদে ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। ফুলের নাগাল না পাওয়ায় তিনি কেয়ারটেকারকে একটি চেয়ার আনতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি চেয়ার নিয়ে উপরে উঠেই নীচ থেকে চিৎকার শোনেন। তার পরেই তিনি জানতে পারেন, যামিনীদেবী পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ে গিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কেয়ারটেকার চেয়ার আনার ফাঁকে হাত বাড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ে যান যামিনীদেবী।

যদিও মৃতার কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল কি না, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি তাঁর পরিবার। বারবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁরা কোনও কথা বলতে চাননি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘মৃতার দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট জানা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন