এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত।
সমস্যা মেটাতে একটি সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক গ্রাহক। সেই গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলল ওই সংস্থারই এক কর্মী। সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের এক বেসরকারি সংস্থার থেকে সম্প্রতি এমন অভিযোগ পায় বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। তারই তদন্তে নেমে রবিবার রাতে পুরুলিয়ার বরাকর রোড থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম সুব্রত দাস (২৪)।
পুলিশ জানায়, উচ্চমাধ্যমিকের পর সুব্রত পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, দু’টি সিম কার্ড ও একটি পরিচয় পত্র।
পুলিশ সূত্রের খবর, হরিয়ানার পানিপথের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক সমস্যা মেটাতে ফোন করেন পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি বেসরকারি সংস্থায়। কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির কারিগরি দিক দেখভাল করে ওই সংস্থা। প্রথমে সংস্থার এক কর্মীর সঙ্গে হরিয়ানার ওই গ্রাহক ফোনে কথা বলেন। তার পরে সংস্থার তরফে গ্রাহককে ফোন করা হয়। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর পরেই ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এগারো হাজার টাকা সরানো হয়। ব্যাঙ্কের থেকে আসা এসএমএসে তা জানতে পারেন হরিয়ানার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তিনি ফের যোগাযোগ করেন পাঁচ নম্বর সেক্টরের সংস্থাটির সঙ্গে। সংস্থার পক্ষ থেকেও সল্টলেকের সাইবার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার।
বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা জানান, এই ঘটনায় সুব্রতর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা দেখা হচ্ছে। গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রাহকদের তথ্য যাঁদের দেখভালে থাকে, তাঁদের আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি আরও কঠোর নজরদারি দরকার।’’