শেখ রমজান
বছর ষোলোর এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে মুম্বইয়ের কল্যাণ থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ রমজান।
পুলিশ সূত্রে খবর, আর্মেনিয়ান ঘাট সংলগ্ন একটি ঝুপড়ি থেকে গত ২৬ নভেম্বর নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। তার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, বাড়ির এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে মুম্বইয়ে। সেখানে কয়েক মাস আগে গিয়েছিল এই কিশোরীও। ফিরে আসার পর থেকেই সে মোবাইলে বারবার কারও সঙ্গে কথা বলত। তখন মেয়েটির মোবাইলের সূত্রে একটি নম্বর পান তদন্তকারীরা। দেখা যায়, সেটি রমজানেরই নম্বর। আর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের কল্যাণ এলাকা। এর পরেই উত্তর বন্দর থানার অতিরিক্ত ওসি-র নেতৃত্বে একটি দল মুম্বই পৌঁছয়। শুক্রবার সেখান থেকেই ধরা হয় রমজানকে। মেয়েটিকেও উদ্ধার করা হয়।
রমজানকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আদতে তার বাড়ি লখনউ। কিন্তু কাজের সূত্রে সে মুম্বইয়ে থাকে। গত ২৬ তারিখ রমজান হাওড়া স্টেশনে এসেছিল। আগে থেকেই সে ওই কিশোরীকে স্টেশনে থাকতে বলেছিল। সেখান থেকেই তাকে নিয়ে পৌঁছয় মুম্বই। যদিও পুলিশের কাছে অভিযুক্ত দাবি করেছে, সে বিয়ে করবে বলে ওই কিশোরীকে মুম্বই নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, নাবালিকা মেয়েকে এ ভাবে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তের স্বার্থেই রমজানকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে। এক অফিসার জানান, লখনউয়ের ছেলে মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়ে কলকাতার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করায় সন্দেহ দানা বেঁধেছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, সাধারণত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ ভাবে নাবালিকাদের নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে রমজান মুম্বই থেকে এসে ওই মেয়েটিকে কেন নিয়ে গেল, তা জানার জন্য তাকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে।