জখম এক যাত্রী। সোমবার, সল্টলেকে ময়ূখ ভবনের সামনে। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনায় লাগাম পরাতে পারছে না বিধাননগর কমিশনারেট। রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিউ টাউন ও সল্টলেকে তিনটি পৃথক পথ-দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ৪ জন।
সোমবার বিকেলে পাঁচটা নাগাদ সল্টলেকের ময়ূখ ভবন মোড়ের কাছে একটি স্কুলবাসের পিছনে একটি অটো ধাক্কা মারে একটি অটো। ঘটনায় আহত হন অটোচালক ও এক যাত্রী। পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ করুণাময়ীর দিক থেকে ময়ূখভবনের দিকে যাচ্ছিল নিউ টাউনের একটি স্কুলবাস। মোড়ের আগে ইউ টার্ন করাতে বাসের গতি কমান চালক। তখনই পিছন থেকে একটি অটো এসে বাসে ধাক্কা মারে। অটোচালক অরিত্র সরকারের (৩৪) পায়ে ও অভিজিৎ নস্কর (৪৪) নামে এক যাত্রীর বুকে আঘাত লাগে। তাঁদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবারই সকালে নিউ টাউনের সৃষ্টি মোড়ে একটি মোটরবাইক সিগন্যাল ভেঙে একটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে। ঘটনায় দুই বাইকআরোহী আমির আলি মোল্লা ও মজরুল মণ্ডল আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানান, ডাম্পারটি রাস্তা পার হওয়ার সময়ে মোটরবাইকটি কাছে এসে পড়ে। ডাম্পারের ভিতরে থাকা লোকজন হাত দেখিয়ে বাইক থামানোর কথা বললেও কাজ হয়নি। বাইকচালকের কানে হেডফোন ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অন্য দিকে রবিবার রাতে নিউ টাউনে আকাঙ্খা মোড়ে একটি সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মেরে পালায় একটি লরি। ঘটনাস্থলেই বছর চল্লিশের অজ্ঞাতপরিচয় ওই সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে লাগাতার ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায়। পুলিশকর্তাদের দাবি, নিয়মিত পুলিশি অভিযান চলছে। কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। পুজোর আগে সল্টলেকে সিটি সেন্টারের সামনে বাস-অটোর সংঘর্ষে দুই ব্যক্তির
মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় ঘাতক বাসের চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পুজোর সময়ে লাগাতার অভিযানে মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল।
কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভিআইপি রোড, রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শুরু করে বাগুইআটি, নিউ টাউন, সল্টলেকের ভিতরের রাস্তাতেও বাস, অটো, ট্যাক্সি এবং চার চাকার গাড়ির বেপরোয়া যান চলাচল বেড়েই চলেছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, সরকারি-বেসরকারি বাস, অটোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ যদি নেওয়া হয়েই থাকে, তবে নিত্য দিন বেপরোয়া যান চলাচল কি ভাবে ঘটছে। এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুলিশের এক কর্তার জবাব, ‘‘চালকের একাংশের হুঁশ ফিরছে না। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’