নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। —ফাইল চিত্র।
নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশকর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোরে কালীতলা আশুতি থানা এলাকার নতুন পাড়া রোড থেকে অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। ধৃতের নাম নীতীশ সিংহ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। এই নিয়ে নবান্ন অভিযানে পুলিশকর্মীকে হেনস্থা এবং মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা তিন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ অগস্ট পুলিশ কনস্টেবলকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় সরাসরি অভিযুক্তের যোগ রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার সময়কার যে ভিডিয়ো সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত নীতীশকে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীকে মারধর করতে!
নবান্ন অভিযানে পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার চন্দন গুপ্ত নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বাড়িও উত্তর ২৪ পরগনায়। জগদ্দলের বাসিন্দা চন্দনকে মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
চন্দন ছাড়াও এই মামলায় নৈহাটির বাসিন্দা মানসচন্দ্র সাহাকে বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার ধরা পড়লেন নীতীশ। নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর এবং বিশৃঙ্খলা তৈরিতে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত ছিলেন, সে সব খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
গত ৯ অগস্ট ছিল আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের এক বছর। সেই ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার অধরা, এমন দাবি তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু বিজেপি কর্মীও সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে কারও হাতে ছিল না দলীয় পতাকা। ধর্মতলা থেকে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেওয়া মিছিল পার্ক স্ট্রিটেই আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক কনস্টেবলকে রাস্তায় ফেলে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। মারধরের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে তদন্ত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে।