Oxygen Plant

Oxygen Plant: নকশায় ত্রুটি, চালু হল না হাওড়ার অক্সিজেন প্লান্ট

হাসপাতালের একেবারে পিছনে আগাছার জঙ্গলে ভরা জায়গা পরিষ্কার করে একটি ঘর তৈরি করা রয়েছে। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ ফাঁকা।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২১ ০৮:২৯
Share:

চালু হল না হাওড়ার অক্সিজেন প্লান্ট —প্রতীকী চিত্র।

স্রেফ ভুল নকশার জন্য এখনও পর্যন্ত চালুই হল না হাওড়ার একমাত্র অক্সিজেন প্লান্ট। অথচ, এক মাস আগে সেটি চালু করার কথা ছিল। এখন বালিটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে শুধুই প্লান্টের কাঠামো তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় হাওড়ায় তড়িঘড়ি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্তের পরে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় যন্ত্র বসানোর দায়িত্ব দেয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্লান্টটি বসানোর কাঠামো, অর্থাৎ ঘর তৈরি করে অন্য একটি সংস্থা। সেই ঘর তৈরির নকশায় ত্রুটি থাকায় প্লান্ট তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।

Advertisement

জেলায় অক্সিজেনের হাহাকার মেটাতে সরকারি কোভিড হাসপাতালগুলিতে প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতোই হাওড়ার ৪০০ শয্যার বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতালে সেটি তৈরির পরিকল্পনা হয়। অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর ঘর-সহ অন্যান্য ব্যবস্থা প্রস্তুত হয়ে যায়। প্লান্টের যন্ত্র আসার কথা ছিল দিল্লি থেকে। সেই যন্ত্র এসে পৌঁছনোর আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিরা যাবতীয় পরীক্ষা করেন। তখনই ঘরের ক্রটিপূর্ণ নকশার বিষয়টি সামনে আসে। ফলে স্থগিত হয়ে যায় দিল্লি থেকে যন্ত্র আনানোর উদ্যোগ।

সম্প্রতি বালিটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, হাসপাতালের একেবারে পিছনে আগাছার জঙ্গলে ভরা জায়গা পরিষ্কার করে একটি ঘর তৈরি করা রয়েছে। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ ফাঁকা। ঘরের মেঝের কংক্রিটের কাজও শেষ। বসানো রয়েছে ইলেকট্রিকের ডিপি বক্স। কিন্তু ফের অব্যবহৃত হয়ে থাকায় ঘরের বাইরে আগাছা গজিয়ে উঠেছে।

Advertisement

হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘যে সংস্থা অক্সিজেন প্লান্টটির ঘর তৈরি করেছিল, সেই সংস্থাই নকশার ত্রুটি মেরামত করছে। এই কাজ শেষ হয়ে গেলেই দ্রুত প্লান্ট চালু হয়ে যাবে।’’

অক্সিজেনের সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, টি এল জয়সওয়াল এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের মতো কোভিড হাসপাতালে পাইপলাইনের মাধ্যমে শয্যায় অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় দু’বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর মায়েদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে জেলায়।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দু’বছর বয়সি শিশুর মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার। জুলাই থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ৯২ হাজার শিশুর মায়েদের তা দেওয়া হয়েছে।’’ প্রতিষেধকের অভাব থাকায় জেলায় বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার জনকে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন