স্কুলে পাঠিয়েও ভয় কাটছে না অভিভাবকদের

স্কুলগাড়িতে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ছুটি হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগেই বেশির ভাগ অভিভাবক পৌঁছে গিয়েছেন স্কুলের সামনে। অন্য দিনের তুলনায় তাই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের ভিড় বেশি। বারবার তাঁদের মনে হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চের ঘটনার ছবিগুলি। ‘যদি তেমন কিছু আবার হয়!’ উড়ালপুলের আরও একটি পিলার ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৬ ০০:১৯
Share:

স্কুলগাড়িতে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ছুটি হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগেই বেশির ভাগ অভিভাবক পৌঁছে গিয়েছেন স্কুলের সামনে। অন্য দিনের তুলনায় তাই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের ভিড় বেশি। বারবার তাঁদের মনে হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চের ঘটনার ছবিগুলি। ‘যদি তেমন কিছু আবার হয়!’ উড়ালপুলের আরও একটি পিলার ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

সপ্তাহের প্রথম দিন। স্কুল শুরু হয়েছে রুটিন মাফিক। হাজির পড়ুয়ারাও। যদিও সংখ্যাটা অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষিকারা। তবে, নিশ্চিন্তে ঘরে থাকতে পারেননি অভিভাবকেরা। রবীন্দ্র সরণির মহেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্রগতির মা অঞ্জলি শর্মার কথায়, ‘‘যদি উড়ালপুল ফের ভেঙে পড়ে, তা হলে আটকাতে পারব না। কিন্তু মনের শান্তি যে আমি বাচ্চার সঙ্গে আছি। ওর কিছু হবে না।’’

এই বেসরকারি স্কুলের কয়েক হাত দূরেই রয়েছে পাশাপাশি দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউট এবং সরলা বালিকা বিদ্যালয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবারের পর থেকেই কোনও শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না, জানালেন সরলা বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রী পোস্তা এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পরে তাদের অনেককেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হয়েছে।’’

পাশের স্কুল, সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউটে অবশ্য গুটিকয়েক ছাত্র-ছাত্রী সোমবার উপস্থিত ছিল। স্কুলের শিক্ষিকা মিনতি বসাকের কথায়, ‘‘শুক্রবারও স্কুল খোলা ছিল। কিন্তু কোনও পড়ুয়াই গত দু’দিন আসেনি।’’ স্কুলের তরফে জানানো হয়, গত দু’দিন স্কুলে মিড-ডে মিলও আসেনি। কারণ, কোনও ছাত্র-ছাত্রীই ছিল না।

আতঙ্ক যে এখনও কাটেনি, পড়ুয়াদের কথাতেও তা স্পষ্ট। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী বসাক বলল, ‘‘সে দিনের পর থেকে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় লাগে। স্কুল থেকে বেরিয়ে উড়ালপুলের দিকে তাকালেই মনে হয় আবার ভেঙে পড়বে না তো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন