ইন্ডিগোর বিমানে ব্যাগটি হারিয়ে যায়।
ম্যাজিকের মতো হাওয়ায় উবে গিয়েছে জলপাই রঙের ট্রলি ব্যাগটি। ভিতরে ছিল কিছু জামাকাপড়। ছিল কিছু জরুরি কাগজপত্রও।
গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় বারাণসী থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে ওঠার আগে নিজের ব্যাগটি বিমানবন্দরের চেক-ইন কাউন্টারে জমা দিয়েছিলেন অংশুল আগরওয়াল। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছে সেই ব্যাগ আর হাতে পাননি। এর পরে কেটে গিয়েছে ন’দিন। কিন্তু হদিস নেই ব্যাগের!
অংশুলের কথায়, ‘‘প্রায় একশো বার ফোন করেছি। শেষ ফোন করেছি গত শনিবার। কলকাতা বিমানবন্দরে ওই উড়ান সংস্থার কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন। প্রতিটি লাগেজের সঙ্গে ট্যাগে কম্পিউটারাইজড নম্বর থাকে। তাকে খুঁজে পেতে এত সময় কেন লাগবে?’’
কী বলছে ওই উড়ান সংস্থার কাস্টমার কেয়ার? অংশুলের কথায়, ‘‘প্রতি বারই নতুন এক জন কর্মী ফোন ধরেন। প্রতি বারই আমাকে পুরো ঘটনা বলতে হয়। আর সব শুনে প্রতি বারই যন্ত্রের মতো ফোনের ও পাশ থেকে বলা হয়, চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি ক্লান্ত।’’
পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, বছর ছাব্বিশের অংশুল আদতে নেপালের নাগরিক। তবে গত সাত-আট বছর ধরে চাকরি সূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাঁর অভিযোগ, সে দিন সন্ধ্যায় কলকাতায় নামার পরে ব্যাগ না পেয়ে যোগাযোগ করেন বিমানবন্দরের কর্মরত ইন্ডিগোর কর্মীদের সঙ্গে। তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানান, দু’টি বিমানবন্দরের কোথাওই অংৈৈশুলের ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে না! এক কর্মী জানান, যে বিমানে অংশুল কলকাতায় এসেছেন, সেটি কিছুক্ষণ আগেই যাত্রী-সহ বেঙ্গালুরু রওনা হয়ে গিয়েছে। এমনও হতে পারে যে, ব্যাগটি ওই উড়ানে রয়ে গিয়েছে এবং তাতে করে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছে। কিন্তু পরের দিন অংশুলকে জানানো হয়, বেঙ্গালুরুতেও ব্যাগ পাওয়া যায়নি। এর পরে ইন্ডিগোর সদর দফতরে ই-মেল করে অভিযোগ জানান অংশুল। লিখিত অভিযোগ জানান কলকাতা বিমানবন্দর থানাতেও।
এ নিয়ে ইন্ডিগোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেনি। টেক্সট মেসেজেরও জবাব আসেনি।