আরজিকরে শৌচাগার থেকে ‘ঝাঁপ’ রোগিণীর

তাঁকে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তার মধ্যেই এই ঘটনায় পিঙ্কিদেবীর পরিজনেরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। চিকিৎসকদের দাবি, পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থেকেই এ দিন জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন পিঙ্কি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১৩
Share:

শৌচাগারের জানলা থেকে পড়ে আহত হলেন এক রোগিণী। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ দিন দুপুরে আড়াইটে নাগাদ স্ত্রীরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন ওই রোগিণী একতলার শৌচাগারের জানালা ভেঙে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, ওই মহিলা সামান্য চোট পেয়েছেন।

Advertisement

আরজিকর হাসপাতালের এক কর্তা জানান, ওই রোগিণীর নাম পিঙ্কি প্রামাণিক। বছর তিরিশের পিঙ্কিদেবী দেগঙ্গার বাসিন্দা। ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে দেগঙ্গার হাসপাতাল থেকে আরজিকরে রেফার করা হয়েছিল। তার আগে দেগঙ্গার হাসপাতালে তিনি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু প্রসবের পরে তাঁর কিছু মানসিক সমস্যা শুরু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, অনেকেরই সন্তান প্রসবের পরে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘পোস্ট ডেলিভারি মেন্টাল ইলনেস’ বলা হয়। পিঙ্কিদেবীকে আর জি কর হাসপাতালের মনোরোগ চিকিৎসকেরা দু’দিন পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তার মধ্যেই এই ঘটনায় পিঙ্কিদেবীর পরিজনেরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। চিকিৎসকদের দাবি, পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থেকেই এ দিন জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন পিঙ্কি।

রোগিণীর পরিজনদের একাংশ অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই। তাঁদের প্রশ্ন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী কী ভাবে শৌচাগারের জানলা থেকে পড়ে গেলেন? কেন তাঁর উপরে নজরদারি ছিল না? এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের এক কর্তা জানান, হাঁটাচলা করতে সক্ষম রোগীরা নিজেই শৌচাগারে যান। তাই পিঙ্কিদেবীর উপরে বিশেষ নজরদারি ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement