স্ট্রেচার না পেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ

ফের সরকারি হাসপাতালে স্ট্রেচার না মেলার অভিযোগ উঠল। এ বার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের জরুরি বিভাগে স্ট্রেচার না পেয়ে রোগিণীকে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে, অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৩
Share:

ফাইল চিত্র।

ফের সরকারি হাসপাতালে স্ট্রেচার না মেলার অভিযোগ উঠল। এ বার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের জরুরি বিভাগে স্ট্রেচার না পেয়ে রোগিণীকে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে, অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল পরিবার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও অভিযোগ পাননি।

Advertisement

রোগিণীর পরিবার সূত্রের খবর, সোমবার জোহরা বেগম (৫০) নামে এক প্রৌঢ়াকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর ছেলে শেখ কুরবান। তাঁদের বাড়ি হাওড়ার ক্যারি রোডে। অভিযোগ, এসএসকেএম-র জরুরি বিভাগে চিকিৎসককে দেখানোর পরে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার কথা বলা হয়। সেই মতো পরীক্ষার জন্য অন্য বিভাগে নিয়ে যাওয়ার সময়ে জোহরা বেগম অসুস্থ বোধ করেন।

শেখ কুরবানের কথায়, ‘‘মা অসুস্থ বোধ করায় স্ট্রেচারের খোঁজ করতে যাই। তখন ৫০০ টাকা চাওয়া হয় স্ট্রেচারের জন্য। কিন্তু অত টাকা ছিল না আমার কাছে। তাই মাকে হাঁটিয়েই নিয়ে যাচ্ছিলাম।’’ কুরবানের দাবি, এই হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন প্রৌঢ়া। তাঁকে হাসপাতালের মেন বিল্ডিংয়ের বাইরে শুইয়ে দেন বলে জানান কুরবান। অভিযোগ, এর পরেই আর জ্ঞান ফেরেনি জোহরার। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

যদিও এসএসকেএমের পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রের খবর, মেন বিল্ডিংয়ের সামনে জোহরার বেগম নামে এক অসুস্থ রোগিণীকে নিয়ে তাঁর বাড়ির লোকজন চেঁচামেচি করছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুলিশ ওই রোগিণীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসতে চাইলে তাঁর পরিবার তা মানতে চাননি। নিয়ে যেতেও চাননি। পরে একটি গাড়ি ডেকে তাঁরা কোনও চিকিৎসককে না দেখিয়েই রোগিণীকে নিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার। পুলিশের কাছেও কোনও অভিযোগ জানায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন