এনআরএস থেকে নিখোঁজ রোগী

রোগীর শ্যালক সুভাষ সামন্ত জানান, গত ১ মে থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রভাত চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০১:৪১
Share:

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।

সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন চিকিৎসাধীন এক যুবক। এমনটা দাবি করে তাঁর পরিবারের তরফে এন্টালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে আটত্রিশ বছরের ওই যুবক নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা প্রভাত ভোক্তা কর্মসূত্রে বালুরঘাটে থাকতেন। গত ২৭ এপ্রিল বালুরঘাটের ভাড়া বাড়িতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে যান প্রভাত। তাঁকে বালুরঘাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে খিঁচুনি শুরু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, রোগী ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে। রোগীর শ্যালক সুভাষ সামন্ত জানান, গত ১ মে থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রভাত চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রভাতের স্ত্রী মিঠু সামন্ত ভোক্তা সোমবার জানান, গত ৮ মে হাসপাতালে তাঁর স্বামীর সঙ্গে দাদা শক্তি ভোক্তা ছিলেন। সে দিন সকালে জরুরি কাজে নীচে যান শক্তি। ফিরে এসে দেখেন, ভাই বিছানায় নেই। এর পরেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

প্রভাতের দুই সন্তান। বড় ছেলে আয়ুষের বয়স ১০ বছর। ছোট ছেলে অঙ্কুর চার বছরের শিশু। এ দিন মিঠু বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী উধাও হয়ে গেলেন, আর কেউ নজর করলেন না! ওয়ার্ডের নার্স, অন্য কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছিলেন?’’ এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশও তাঁর স্বামীকে খুঁজতে তৎপর হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতালে কে রোগী তা নিরাপত্তারক্ষীরা বুঝবেন কী করে? রোগীদের তো আর আলাদা পোশাক থাকে না। ফলে কেউ স্বেচ্ছায় চলে গেলে তা চিহ্নিত করা মুশকিল।’’ পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুপার। নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পেতে সব রকম চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন