খুশি বাসিন্দারা, বছর শেষে পাশ বিধাননগর পুলিশ

টিকিট বিক্রি অনুযায়ী খাবার ও অন্যান্য ব্যবস্থা মজুত রাখতে হবে, নইলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। বর্ষশেষের রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছ থেকে এমনই মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছিল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

টিকিট বিক্রি অনুযায়ী খাবার ও অন্যান্য ব্যবস্থা মজুত রাখতে হবে, নইলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। বর্ষশেষের রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছ
থেকে এমনই মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছিল পুলিশ।

Advertisement

কিন্তু মুচলেকা লিখে দিলেও ঘটনা ঘটল তার উল্টো। খাবার এবং মদ না পেয়ে শুরু হল বচসা, তার জেরে গোলমাল। পুলিশ অবশ্য খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আয়োজকদের চার জনকে।

রবিবার রাতে নিউ টাউনের একটি শপিং মলের ঘটনা। বর্ষশেষের রাতে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে এ ভাবেই সক্রিয় ছিল পুলিশ। দু’-একটি ঘটনা বাদ দিলে অবশ্য মোটের উপরে নির্বিঘ্নেই কেটেছে বর্ষবরণের রাত। ওই রাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৬০ জনেরও বেশি এবং মত্ত অবস্থায়
গাড়ি চালানো-সহ একাধিক অভিযোগে ৬৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের অনুমতির ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় বছর শেষের অনুষ্ঠান ও খাওয়াপিনার আয়োজন হয়েছিল বিধাননগরে। পুলিশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আয়োজকদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছিল। পুলিশের একাংশ জানায়, এর আগে দেখা গিয়েছে, বর্ষশেষের রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যত লোকজনকে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে তত জনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই একাধিক গোলমালের ঘটনা এর আগে ঘটেছে। তাই পুলিশ এ বার আয়োজকদের নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল, আঠেরো বছরের কম বয়সীদের মদ সরবরাহ করা যাবে না এবং যে সংখ্যক টিকিট ছাড়া হবে, সেই অনুসারেই খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, এ বছর সল্টলেক থেকে নিউ টাউনের বিভিন্ন বিনোদন পার্ক, মেলা ও শপিং মলে ভিড় উপচে পড়েছে। নিউ টাউনে ইকো পার্কের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল যানবাহন। যদিও নতুন ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ। অনেকের মতে, যে হেতু নিউ টাউনের ভিতরের রাস্তাঘাট সম্পর্কে বহিরাগতদের কোনও ধারণা নেই, তাই মূল রাস্তা থেকে গাড়ি অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল। তাঁরাই পথ দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। যতটা বলা হচ্ছে, সমস্যা ততটা হয়নি।

সল্টলেক ও নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পুলিশ সক্রিয় ছিল। তাই নির্বিঘ্নে বর্ষশেষের রাত কেটেছে। বিধাননগর পুলিশের দাবি, যানবাহন চলাচল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নজরদারি থেকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তার জেরে সুফলও মিলেছে। ভবিষ্যতেও এমন পরিকল্পনা জারি থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন