শব্দ রুখতেই থানায় হাঙ্গামা

শোভাযাত্রাটি বাঁশদ্রোণী থানার কাছে আসতেই শব্দ বন্ধ করতে বলেন পুলিশকর্মীরা। প্রথমে বচসা হয়। পরে হাঙ্গামা শুরু করে শোভাযাত্রায় থাকা মহিলা-সহ শ’খানেক জনতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৫
Share:

রাস্তা জুড়ে চলেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা। সঙ্গে উচ্চস্বরে বাজছে সাউন্ড বক্স। রাস্তার মাঝে চলছে উদ্দাম নাচ। আচমকাই সেখানে হাজির হলেন জনা দশেক পুলিশকর্মী। মাইক বাজানো বন্ধ করতে বলতেই পুজো কমিটির সদস্যেরা বচসা জুড়ে দিলেন। পুলিশ দু’জনকে আটক করে সাউন্ড বক্স ও অন্যান্য শব্দযন্ত্র থানায় নিয়ে যেতেই সেখানে পৌঁছে হাঙ্গামা জুড়ে দিলেন কয়েক জন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার পরে শোভাযাত্রা ছাড়াই বির্সজন হয়।

Advertisement

সোমবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিন মুক্তি পায় তারা। মাইক বাজানোর উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আছেই। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর আগে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করা হয়েছিল ডিজে বা উচ্চস্বরে মাইক বাজানো নিয়ে। তা সত্ত্বেও দুর্গাপুজোর বির্সজনে দেদার ডিজে বাজানোর অভিযোগ উঠেছিল। কালীপুজোর আগে কয়েকটি থানা উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নিতেই দক্ষিণ শহরতলির বিসর্জনে দেখা মেলেনি ডিজের।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতের শোভাযাত্রায় জোরে মাইক বাজানোর অভিযোগ আসতেই বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ নড়ে বসে। সোমবার ব্রহ্মপুর বাদামতলার পুজো কমিটি রাত দশটা নাগাদ প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করছিল। সঙ্গে ছিল ব্যাঞ্জো। শোভাযাত্রাটি বাঁশদ্রোণী থানার কাছে আসতেই শব্দ বন্ধ করতে বলেন পুলিশকর্মীরা। প্রথমে বচসা হয়। পরে হাঙ্গামা শুরু করে শোভাযাত্রায় থাকা মহিলা-সহ শ’খানেক জনতা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, প্রথমে পুজো কমিটিকে বলা হয়েছিল সাউন্ডবক্স বন্ধ করলেই শোভাযাত্রা করা যাবে। কমিটির তরফে নির্দেশ অমান্য করতে রাস্তার মাঝে প্রতিমা রেখে অবরোধ করা হয়। পরে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ সাউন্ড বক্স ও অন্য বাদ্যযন্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করে।

লালবাজার জানিয়েছে, এর পরে তাদের ছাড়ার দাবিতে থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় রাতেই বিসর্জন হয়। ধৃতেরা জামিন পায়। পুলিশের একাংশের দাবি, থানায় গিয়ে গোলমাল ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ দায়ের করা উচিত ছিল কমিটির বিরুদ্ধে।

এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ওই পুজো কমিটির মঙ্গলবার বিসর্জন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তাঁরা পুলিশকে না-জানিয়েই রাত দশটার পরে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে শোভাযাত্রা বার করে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানাতেই আমরা ব্যবস্থা নিই।’’ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বর্ণালী হালদারের অভিযোগ, পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই শোভাযাত্রা করা হয়েছিল। শুধু ব্যাঞ্জো বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ কিছুই শুনতে চায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement