নিউ আলিপুর কলেজ। ছবি: সংগৃহীত।
ক্লাসঘরের চৌহদ্দির বাইরে শিক্ষার উড়ান। কিংবা হাতেকলমে শিক্ষার ফলিত প্রয়োগে ছাত্রছাত্রীদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা। এই লক্ষ্যে আধুনিক সাংবাদিকতা চর্চার একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণাগার তৈরিতে পদক্ষেপ করল নিউ আলিপুর কলেজ। একই সঙ্গে, কলকাতার ঐতিহ্যের নানা দিক মেলে ধরারহেরিটেজ সেন্টার এবং উত্তরবঙ্গ বিষয়ক স্থায়ী প্রদর্শনীও কলেজে সেজে উঠেছে। বুধবার কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন ‘উদ্ভাস’-এর মঞ্চ থেকেই উঠে এল নতুন পদক্ষেপগুলি।
জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্প্রতিক ভাবনায়, শিক্ষার্থীদের পেশাগত পরিসরের উপযুক্ত করায় জোর দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতার ল্যাবরেটরিটি তারই নমুনা। জানা গিয়েছে, ওই ল্যাবরেটরিতে দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমের আঙ্গিকে কোনও কাজের অনুশীলন এবং নির্মাণের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো থাকছে।
কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘সাংবাদিকতার এই বিভাগটি স্বনির্ভর। কলেজের তহবিল থেকেই বিভাগটির উন্নতিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরিতে দক্ষ, স্বনির্ভর, উদ্যোগী হয়ে ওঠা কলেজের কয়েক জন ছাত্রের কাজও মেলে ধরা হয়। কলেজে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ১৭টি বিষয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ধ্রুপদী ভাষা বাংলা,ইংরেজি জনপ্রিয় সাহিত্য, নগরায়ণ ও শহরে জলসম্পদ রক্ষার মতো নানা দিক উপস্থাপন করা হয়। কলেজের গ্রন্থাগারের বইয়ের খুঁটিনাটিও সবার জন্য মেলে ধরা হয়েছে একটি উপস্থাপনায়।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘কলেজের অনেক ছাত্র, শিক্ষক উত্তরবঙ্গের। এটা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ বিষয়ক স্থায়ীপ্রদর্শনীও থাকছে। বাংলার সাংস্কৃতিক বহুত্ব সবার সামনে তুলে ধরাও লক্ষ্য।’’ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কল্লোল পাল, ডিপিআই মধুমিতা মান্না, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে