Physical Harassment

ট্র্যাফিক আইন ভাঙায় উঠেছে পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ

জানা গিয়েছে, বি টি রোড ধরে কলকাতার দিকে আসছিল একটি লরি। সিঁথির মোড়ের কাছে ওই লরির চালক হঠাৎ লরিটিকে ইউ-টার্ন করান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৮
Share:

প্রহৃত সেই লরিচালক।

রাস্তার ভুল জায়গা থেকে ইউ-টার্ন নেওয়ায় এক লরিচালককে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে সিঁথির মোড়ের এই ঘটনায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওই লরিচালকের চিকিৎসা করানো হয়। অভিযুক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তো নেওয়া হয়ইনি, উল্টে পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার পুলিশের বড় কর্তাদের মধ্যস্থতায় থানাতেই বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement


জানা গিয়েছে, বি টি রোড ধরে কলকাতার দিকে আসছিল একটি লরি। সিঁথির মোড়ের কাছে ওই লরির চালক হঠাৎ লরিটিকে ইউ-টার্ন করান। সেখানেই কর্তব্যরত শ্যামবাজার ট্র্যাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মী ওই লরিচালককে ধরে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এর জেরে ওই রাতে সিঁথির মোড় অবরোধ করা হয়। অভিযুক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে লরিচালকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলে চেঁচাতে শুরু করেন তাঁরা। সেই বিক্ষোভের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে দেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, রক্তাক্ত এক যুবক পুলিশকর্মীর দিকে আঙুল তুলে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তে কাশীপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতেই কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।


পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর পরে ওই আহত লরিচালককে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও উত্তর কলকাতার ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, “চিকিৎসকেরা দেখে বলেছেন, ওই লরিচালকের দাঁত আগে থেকেই ভাঙা ছিল। পুলিশের মারে দাঁত ভাঙেনি।” তিনি আরও জানান, শ্যামবাজার ট্র্যাফিক গার্ডের অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী সুভাষ সরকার ঘটনার রাতে সিঁথি মোড়ের কাছে ডিউটি করছিলেন। লরিটি সিঁথির মোড় থেকে হঠাৎ ইউ-টার্ন নিলে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে চালকের দিকের দরজায় মারতে যান তিনি। লাঠির ঘা গিয়ে পড়ে লরির লুকিং গ্লাসের উপরে। সেই কাচই ভেঙে গিয়ে লাগে চালকের ঠোঁটে। তার জেরেই তিনি জখম হন।

Advertisement


শুক্রবার সকালে লরির মালিক এবং চালককে কাশীপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী লরিচালকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বলে ওই পুলিশ আধিকারিকের দাবি। পুলিশের একাধিক কর্তার উপস্থিতিতে অভিযোগটিও তুলে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত সুভাষবাবুকে ফোন করা হলে তিনি শনিবার বলেন, “লরিচালকের ভুল ছিল। আমারও লাঠিটা দেখে চালানো উচিত ছিল। আমরা বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছি।” লরির মালিকের সঙ্গে যদিও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর ফোন নম্বরে ফোন করা হলেও সেটি দিনভর বন্ধই ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন