খোলা হল প্লাস্টিক, বাধা শুধু বেহালায়

অগ্নিসুরক্ষার কথা ভেবে শহরে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে পুর প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৭
Share:

উদ্যোগ: ফুটপাত থেকে প্লাস্টিকের ছাউনি সরাচ্ছেন পুরকর্মীরা। বুধবার, হাতিবাগানে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাত ও রাস্তার পাশের কিছু দোকান থেকে বুধবার প্লাস্টিকের ছাউনি সরানো গেলেও বেহালায় ‘ধাক্কা’ খেল পুরসভার টিম। অভিযোগ, বেহালার হকারেরা প্লাস্টিক অভিযান রুখে দেন। পরে তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হঠাৎ প্লাস্টিক খোলা হলে ব্যবসার ক্ষতি হবে। ফলে এর জন্য সময় চান তাঁরা। বিষয়টি জানানো হয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। এ দিন রাজ্যের বাইরে ছিলেন তিনি। পরে যোগাযোগ করা হলে মেয়র বলেন, ‘‘বেহালার হকারেরা দু’দিন সময় চেয়েছেন। তার পরেই সেখানে যাবেন পুরসভার কর্মীরা।’’

Advertisement

অগ্নিসুরক্ষার কথা ভেবে শহরে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে পুর প্রশাসন। মূলত গড়িয়াহাট বাজারের কাছে অগ্নিকাণ্ডের পরেই মেয়র ছোটখাটো দোকানদার, হকার থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের উদ্দেশে প্লাস্টিক সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান। তাতে পুরো কাজ না হওয়ায় এ দিন কলকাতা পুরসভার বাজার দফতরের অফিসারদের নেতৃত্বে গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, হাজরা এবং বেহালায় প্লাস্টিকের ছাউনির বিরুদ্ধে আভিযান চালান।

পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই সব এলাকায় পৌঁছয় পুরসভার দল। খবর দেওয়া হয় গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, শ্যামপুকুর এবং বেহালা থানা এলাকায়। যায় পুলিশও। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, গড়িয়াহাটে পুরকর্মীদের দেখে অনেকেই নিজেরা প্লাস্টিক খুলে নিয়েছেন। যাঁরা খুলতে চাননি, তাঁদের দোকানের প্লাস্টিক ছাউনি ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। কেউ কেউ একটু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে মেয়রের নির্দেশে কাজ হচ্ছে শুনে চুপ করে যান। নিউ মার্কেট এবং হাতিবাগানে ফড়িয়াপুকুর সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাত এবং রাস্তার ধারে থাকা অনেক দোকানে প্লাস্টিক খুলে দেওয়া হয়। কোনও বাধা আসেনি। পুর বাজার দফতরের এক অফিসার জানান, সকলকেই বলা হয়েছে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে প্লাস্টিকের মাধ্যমে। তাই তা খুলে ফেলা হচ্ছে।

Advertisement

বেহালায় ওই কাজ করতে গিয়ে পুলিশের সামনেই বাধায় পড়তে হয় পুরকর্মীদের। পুর সূত্রের খবর, বেহালার হকারেরা প্লাস্টিক খুলতে দেননি। পথ আগলে রাখেন পুরকর্মীদের। পরিস্থিতি ঘোরালো হতেই পুর কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন

পুরকর্মীরা। খবর দেওয়া হয় ওই এলাকার ডেপুটি কমিশনারকেও। পরে স্থানীয় হকার নেতা মেয়রের সঙ্গে কথা বলে সময় চেয়ে নেওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন