দুর্ঘটনা রোধে কলকাতার মতো এ বার বিধাননগরেও রাতের বেলায় উড়ালপুলের উপরে মোটরবাইকের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবছে পুলিশ প্রশাসন।
ইতিমধ্যে উল্টোডাঙা উড়ালপুলে রাতে মোটরবাইকের চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে যে সমস্ত উড়ালপুলে বাঁক বা কার্ভ রয়েছে সেই সব উড়ালপুলের ক্ষেত্রে রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এমন বিধিনিষেধ আরোপ করার চিন্তাভাবনা চলছে।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, উড়ালপুলে মোটরবাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হচ্ছে। তার উপরে যে সব উড়ালপুলে বাঁক বেশি, সেখানে দুর্ঘটনার প্রবণতাও বেশি। তবে মোটরবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। যার প্রথমটি হল, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ কর্মীর অভাব। তাই উড়ালপুলে ওঠার মুখে গার্ডরেল বসিয়ে এক দিকে গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বোর্ডও বসানো হচ্ছে। তাতে কলকাতা এলাকায় উড়ালপুলে রাতে মোটরবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পে গাড়ি চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যে সব বার্তা দেওয়া আছে তা লেখা থাকবে উজ্জ্বল আলোয়। পুলিশের একটি অংশের কথায়, উল্টোডাঙা উড়ালপুলে রাতে মোটরবাইক যাতে না ওঠানামা করেন তার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে ওই ধরনের বোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিন্তু একটি মাত্র উড়ালপুলে মোটরবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কি আখেরে কিছু লাভ হবে? বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, উল্টোডাঙা উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য এবং তাঁর বাঁক মাথায় রেখে ওই পরিকল্পনা কার্যকরী করা হয়েছে। অন্যগুলির কথা পরে ভাবা হবে।
তবে শুধু মোটরবাইক নয়। পণ্যবাহী যান চলাচলেও দুর্ঘটনা ঘটেছে উড়ালপুলে। কখনও উড়ালপুলের অংশ খুলে নীচে পড়েছে। কয়েক বার পণ্যবাহী যানের ধাক্কায় উড়ালপুলে ওঠার মুখে হাইটবার ভেঙে পড়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, উড়ালপুলে পণ্যবাহী যান চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করুক প্রশাসন। বিধাননগর পুলিশের একাংশ অবশ্য জানান, পণ্যবাহী যান চলাচলেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। তবে সেই ক্ষেত্রে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।