বিশেষজ্ঞেরা বলে থাকেন, ঘটনাস্থলে কোনও একটা নিশানা রেখেই যায় অপরাধী। তেমনই এক ‘নিশানা’র জন্য পুলিশের জালে ধরা পড়ল চোর। এ ক্ষেত্রে ‘মানিব্যাগ’ ছিনতাই করতে এসে নিজের ‘মানিব্যাগ’টাই ফেলে পালিয়েছিল এক পকেটমার। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায়।
কী রকম?
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) সুদীপ সরকারের অফিসের সামনে। সে সময়ে গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন বিবি হলের বাসিন্দা বীরেন্দ্র রাম। রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে পান কেনেন তিনি। বেশ আমেজে মুখে সবেমাত্র পান দিয়েছেন বীরেন্দ্র। পান বিক্রেতাকে টাকা দেওয়ার জন্যে যেই প্যান্টের পিছনের পকেট থেকে মানিব্যাগ বার করছেন, তখনই পিছন থেকে এক যুবক ছোঁ মেরে ওই মানিব্যাগ ছিনতাই করে দৌড়তে শুরু করে। পানের আমেজ ততক্ষণে কেটে গিয়েছে ওই ব্যক্তির। প্রথমে কিছুটা থতমত খেয়ে যান বীরেন্দ্র। তার পরে তিনিও ধাওয়া করেন ওই যুবককে। কিন্তু তখনই রাস্তায় চলে আসে একটি গাড়ি। কার্যত ফিল্মি কায়দায় ওই চলন্ত গাড়িতে উঠেই পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। এ দিকে, রাত বারোটা নাগাদ এ ভাবে ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় দৌড়তে দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। কিন্তু ততক্ষণে চলন্ত লরির পিছনে চেপে উধাও ছিনতাইকারী যুবক। কিন্তু তখনই পুলিশের চোখে পড়ে সেই নিশানা। হঠাৎ এক পুলিশকর্মী লক্ষ্য করেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে একটি মানিব্যাগ। প্রথমে বীরেন্দ্র ভাবেন সেটি তাঁর খোয়া যাওয়া মানিব্যাগটিই। কিন্তু না, ওটি আসলে ছিনতাইকারীর ফেলে যাওয়া অন্য একটি মানিব্যাগ।
ওই মানিব্যাগে থাকা ভোটার কার্ডের তথ্য দেখেই খুঁজে বার করা হয় ছিনতাইকারী যুবককে। সোমবার সকালে গোপাল ডক্টর রোডের ভিকি সিংহের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় ওই যুবকই পকেটমার। তাকে শনাক্ত করেন অভিযোগকারী বীরেন্দ্র রাম। পুলিশ বুঝতে পারে, চলন্ত গাড়িতে ওঠার সময়ে ভিকি সিংহের পকেট থেকে পড়ে গিয়েছিল তার নিজের মানিব্যাগ। উদ্ধার হল খোয়া যাওয়া টাকা ও ‘মানিব্যাগ’টিও।