Crime

বাইকে চেপে একের পর এক শ্লীলতাহানি, বাইকে রাখা জলের জারই ধরিয়ে দিল অধরা অভিযুক্তকে

প্রথম দিকে অভিযোগগুলি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে বিশেষ কিছু না পেয়ে হাল ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু তৃতীয় অভিযোগটি নথিভুক্ত হওয়ার পরই ডিসি নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ১৯:৫৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অজ্ঞাতপরিচয় এক মোটরবাইক চালকের দাপটে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছিলেন লেক থানা এলাকার মহিলারা। একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে লেক থানায়। মোটরসাইকেল আরোহী ওই ব্যক্তির শিকার ১৭ থেকে ৩৭, সব বয়সের মহিলারাই।

Advertisement

রাস্তা একটু ফাঁকা থাকলেই ওই মোটরবাইক চালক পথচলতি একা মহিলা বা তরুণীর গায়ের কাছে এসে চলন্ত বাইক থেকেই যৌন নিগ্রহ করে বাইকের গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যেত। লেক থানায় প্রথম অভিযোগটি নথিভুক্ত হয় ২ এপ্রিল। এর পর একই রকম বাইক চালকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নথিভুক্ত হয় মে মাসের ২০ তারিখ। প্রথম দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীরা অল্প আলোয় হেলমেট ঢাকা বাইক চালকের মুখ দেখতে পাননি। বাইকের নম্বরও দেখতে পাননি। ডিসি দক্ষিণ-পূর্ব অজয় প্রসাদ বলেন, ঠিক একই রকম বাইকচালকের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযোগটি নথিভুক্ত হয় ২০ জুন।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম দিকে অভিযোগগুলি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে বিশেষ কিছু না পেয়ে হাল ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু তৃতীয় অভিযোগটি নথিভুক্ত হওয়ার পরই ডিসি নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। কারণ, পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি এফআইআর হলেও, আরও অনেক মহিলা একই অভিযোগ করেন, কিন্তু তাঁরা অনেকেই শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের করতে রাজি হননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: যাওয়ার হলে চলে যাও, স্পষ্ট বার্তা ববির, লিখিত নির্দেশ দিন, পাল্টা সব্যসাচী​

লেক থানায় একটি বিশেষ দল গঠন করা হয় ওই বাইক চালককে চিহ্নিত করার জন্য। প্রথম দিকে কোনও সূত্র না থাকায় খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার মতো হাল হয় পুলিশের। প্রতিটি ঘটনাস্থলে এবং তার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করতে গিয়েই ঘটনাস্থলের আশপাশে এবং ঘটনার সময়ে এক বাইক চালককে দেখা যায়। প্রতিটি ঘটনার সময়েই সিসি ক্যামেরায় বাইকের নম্বর স্পষ্ট দেখা না গেলেও ওই বাইকে দেখা যায় ২০ লিটারের প্যাকেজড জলের জার। সেই জলের জার কারা বাড়ি বাড়ি বাইকে করে সরবরাহ করে তা নিয়ে খোঁজ করতে করতেই হদিশ মেলে অভিযুক্তের।

আরও পড়ুন: মহিলা বক্সার নিগ্রহ: এক ঘণ্টায় গ্রেফতারের পর এ বার১১ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল পুলিশ​

রবিবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত বাইকচালক বিকাশ কুমার গুপ্তকে। তিরিশ বছর বয়সী বিকাশের বাড়ি লেক গার্ডেন্স এলাকার সুপার মার্কেটের কাছে। বাবার মুদির দোকান। সে নিজে বাড়ি বাড়ি প্যাকেজড জল সরবরাহ করে। পুলিশ সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করে। আদালত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ধৃতের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সনাক্তকরণ প্যারেডের জন্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুধু লেক থানা এলাকাই নয়, ওই ব্যক্তি ঠিক একই ভাবে আশপাশের রবীন্দ্র সরোবর, গড়িয়াহাট এলাকাতেও অনেক মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন