শিশুকে ‘যৌন নিগ্রহ’, ধৃত প্রৌঢ়

এই ভয়েই লাগাতার যৌন নির্যাতনেও কাউকে কিছু বলেনি এন্টালির বাসিন্দা আট বছরের এক বালিকা। জানাজানি হওয়ার পরেও সেই ভয় কাটছে না তার। এ নিয়ে কথা উঠলেই সে বলছে, ‘‘কুয়োয় ফেলে দেবে। সব্বাই চুপ!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘জেঠু বলেছিল, কাউকে কিছু বললে মেরে কুয়োয় ফেলে দেবে!’ এই ভয়েই লাগাতার যৌন নির্যাতনেও কাউকে কিছু বলেনি এন্টালির বাসিন্দা আট বছরের এক বালিকা। জানাজানি হওয়ার পরেও সেই ভয় কাটছে না তার। এ নিয়ে কথা উঠলেই সে বলছে, ‘‘কুয়োয় ফেলে দেবে। সব্বাই চুপ!’’

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে এক প্রতিবেশী গোটা ঘটনাটি দেখে ফেললে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত, বছর পঞ্চাশের অর্ণব বিশ্বাস। অর্ণবকে জেঠু বলেই ডাকে নাবালিকা। প্রতিবেশীরাই তাকে ধরে এন্টালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই আদালতেই শনিবার গোপন জবানবন্দি দিয়েছে নাবালিকা।

পুলিশ জানায়, এন্টালির পটারি রোড সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি অভিযুক্তের। ওই বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকে নাবালিকা। শিয়ালদহের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে

Advertisement

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। স্কুল থেকে ফিরে নাচ শিখতে যেত সে।

শুক্রবারও নাচের ক্লাস ছিল। বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির পিছন দিকের গলি দিয়ে ক্লাসের জন্য বেরোয় নাবালিকা আর তার পাঁচ বছরের ভাই। এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘কান্নার আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে দেখি, ওই লোকটা অসভ্যতা করছে। সবাই মিলে ধরে ফেলি।’’ ভয়ে সে পালিয়ে এসেছিল বলে জানিয়েছে নাবালিকার ভাই।

এর পরেই খবর যায় পুলিশে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, গত ছ’মাস ধরেই ‘জেঠু’র নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সে। তাকে বলা হয়েছিল, ‘কাউকে কিছু জানালে মেরে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হবে।’ এমনকি, কুয়োর সামনে নিয়ে গিয়ে ‘জেঠু’ তাকে বেশ কয়েক বার ভয়ও দেখিয়েছে বলে দাবি নাবালিকার।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বছর খানেক আগেই বিয়ে করেছেন অর্ণব। স্বামীর এই কাণ্ডে ক্ষুব্ধ তার স্ত্রী। বললেন, ‘‘এমন লোকের সঙ্গে সংসার করা যায় না। আলাদা থাকব।’’ আর নাবালিকার মা বলছেন, ‘‘ওই লোকের কড়া শাস্তি চাই। আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন