প্রথমে ডালহৌসি। তার পরে ওয়াটগঞ্জ। কয়েক ঘণ্টার ফারাকে রাজপথে ফের আক্রান্ত হলেন কর্তব্যরত দুই পুলিশ অফিসার।
ভয় পাওয়া দূর অস্ত্, দুই ক্ষেত্রেই উর্দিধারী অফিসারদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতের ওই দু’টি ঘটনায় এক লরিচালক এবং নিজেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে গত ছ’মাসের মধ্যে মোট ১৫ বার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটল। এ ভাবে লাগাতার সাধারণ মানুষের বেপরোয়া হয়ে ওঠা কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুলিশকর্তাদেরও।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে প্রথম ঘটনাটি ঘটে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার একটি হোটেলের সামনে। সেখানে ডিউটি করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রভাত দেব। অভিযোগ, একটি গাড়ি হোটেলের সামনের ফুটপাথের উপরে দাঁড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, প্রভাতবাবু তা সরিয়ে নিতে বলে রাজি হননি গাড়িতে থাকা সন্তু দাস নামে এক ব্যক্তি। উল্টে তিনি দাবি করেন, গাড়িটি সংবাদমাধ্যমের। তাই ওই জায়গায় পার্ক করতে পারেন। এ নিয়ে সার্জেন্টের সঙ্গে বচসা বাধলে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্তু প্রভাতবাবুর কলার চেপে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। তার পরে তাঁকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে পেটে লাথি মারেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানায়, সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকেরা ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরেন। তাঁরাই সন্তুকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সার্জেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। আহত সার্জেন্টকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই রাতেই দেড়টা নাগাদ দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার সত্য ডাক্তার রোডে। সেখানে ডিউটিতে ছিলেন সার্জেন্ট রাজীব ঘোষ। সেই সময়ে একটি লরিকে বেআইনি ভাবে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি সেটি সরাতে বলেন। অভিযোগ, লরিচালক ওই অফিসারের কথা না মেনে বচসা জুড়ে দেন। তা চলাকালীনই রাজীববাবুর মুখে আঘাত করেন ওই চালক। খবর পেয়ে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান লরিচালক। রাজীববাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছাড়া হয়। অভিযুক্ত চালক রাম নাথকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।