টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার নাটাগাছি এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সোনারপুরের কালিকাপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য লিয়াকত মণ্ডল নিজের মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক আত্মীয়, যাঁর কোলে ছিল একটি ছাগল। রাস্তায় লিয়াকতের বাইক থামিয়ে তল্লাশি চালান সোনারপুর থানার এসআই পার্থসারথি মণ্ডল। অভিযোগ, তল্লাশির পরে পার্থসারথিবাবু বলেন, ওই ছাগলটি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। লিয়াকত পেশায় মাংস ব্যবসায়ী। তিনি তখন বাঘা যতীনে নিজের মাংসের দোকানেই যাচ্ছিলেন। লিয়াকতের অভিযোগ, পার্থসারথিবাবু তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তা না দেওয়ায় তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ওই অফিসার। লিয়াকত গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় পার্থসারথিবাবুর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
পার্থসারথিবাবু অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘লিয়াকত বাইকের কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ওই ছাগল কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তা-ও ঠিক ভাবে বলতে পারেননি। উল্টে পুলিশের উপরে দোষারোপ শুরু করে দিয়েছিলেন। ওই এলাকায় ছাগল চুরির বহু অভিযোগ রয়েছে। ওই ছাগলটিও চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছিল।’’ ওই অফিসার আরও বলেন, ‘‘কোনও কাগজপত্র না থাকায় লিয়াকতকে পুলিশের গাড়িতে উঠতে বলা হয়। তিনি তখন নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রাস্তার পাশে পড়ে যান। ফের উঠে পালাতে গিয়ে পড়েন একটি পুকুরে। লিয়াকতকে মারধর করা হয়নি। পালাতে গিয়ে পড়ে চোট পেয়েছেন।’’ বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘সোনারপুর থানার আইসি অসিত কুইল্যার কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তার পরেই বিভাগীয় তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’