পথ নিরাপত্তা নিয়ে পথচারী থেকে চালকদের সচেতনতা বাড়াতে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশকর্মীরা কতটা সচেতন? বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারাও মানছেন, বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গিয়েছে, হেলমেটবিহীন মোটরবাইক আরোহী পুলিশকর্মীদের। এ বার তাই নির্দেশিকা পাঠিয়ে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করল বিধাননগর পুলিশ।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিধাননগর কমিশনারেট থেকে বলা হয়েছে, পুলিশকর্মীদের হেলমেট পরতে হবে। না হলে পদক্ষেপ করা হবে।
চলতি মাসের শুরুতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে খলিসাকোটার কাছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বিমানবন্দর থানার এক কনস্টেবল সুব্রত মণ্ডল ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার নইম আলির। ঘটনায় আহত হন এক পুলিশকর্মী। ওই দিন মোটরবাইকে চেপে ওই তিন পুলিশকর্মী টহল দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
যদিও নির্দেশিকা পাঠানোর পরেও হেলমেট না পরার ছবিটা এখনও পুরো বদলায়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মোটরবাইকে পুলিশি টহল দেওয়ার সময়ে চালক কিংবা আরোহীর মাথায় কোনও হেলমেট নেই।
তবে পুলিশকর্মীদের একাংশের সাফাই, তাঁরা হেলমেট পরেন। অনেক ক্ষেত্রে জরুরি কাজ এসে পড়লে তাড়াহুড়োয় হেলমেট লাগানোর ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখা দেয়।
তবে বিধাননগর পুলিশের কর্তাদের অনেকেই অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, নির্দেশ পালন না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রশাসনের একাংশের আরও বক্তব্য, পুলিশ যেখানে ২৪ ঘণ্টা মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তারাই যদিও সচেতন না হয়, তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুধু হেলমেট পরাই নয়, অনেক সময়েই একটি মোটরবাইকেই তিন জন পুলিশকর্মী কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা যায়। মোটরবাইকে যাতায়াতের সময়ে দু’জনের বেশি কর্মী যেন না থাকেন তেমন নির্দেশিকাও দিয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা।
বিধাননগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘হেলমেট পরার ক্ষেত্রে শিথিলতা রয়েছে। তা বরদাস্ত করা হবে না। ’’