প্রতীকী ছবি।
টোল প্লাজার রাস্তা থেকে পার্কিং সরানোর কাজ শুরু করল পুলিশ। বালি রাজচন্দ্রপুরে নিবেদিতা সেতুর টোল প্লাজা পার করে প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ জুড়ে রাস্তার ধারে লরি, ট্রাক, ট্রেলার আর দাঁড়াতে দিচ্ছে না ট্র্যাফিক পুলিশ।
তবে এর ফলে সাধারণ গাড়ির দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমলেও তাঁদের সমস্যা বেড়েছে বলেই দাবি পুলিশের একাংশের। কারণ, বালির দিক থেকে পার্কিং সরিয়ে হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশকে প্রায় তিন কিমি দূরে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডানলপ থেকে ঘুরে ফের অত কিলোমিটার পেরিয়ে বালিতে ফিরতে হয়।
তাঁদের কথায়, ‘‘বাইকে চেপে পার্কিং সরিয়ে ডানলপ থেকে ঘুরে আসতেই দেখা যাচ্ছে আবার লরি দাঁড়িয়ে পড়ছে।’’ উপরন্তু নিবেদিতা সেতু দিয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলে। তাই সেখানে বাইক নিষিদ্ধ। কিন্তু ট্র্যাফিক পুলিশকে বাইকে চেপেই পার্কিং সরাতে হচ্ছে। এর ফলে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। হাওড়ার ডিসি (ট্র্যাফিক) সুমনজিৎ রায় বলেন, ‘‘সব সময়েই জাতীয় সড়কের ধার থেকে বেআইনি পার্কিং সরানো হয়। এখন টোল প্লাজার ভিতরেও অভিযান চলছে।’’
পুলিশ জানায়, প্রায় ৬-৭ কিমি ঘুরে সময় ও জ্বালানি যাতে নষ্ট না হয় তাই টোল প্লাজার রাস্তাতেই গেটের ব্যবস্থা করতে টোল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই গেট থাকলে সেখান দিয়েই পার্কিং সরিয়ে পুলিশের টহলদারি বাইক যেতে পারবে। বিভিন্ন লরি-ট্রাক সংগঠনগুলিকেও জানানো হচ্ছে, জাতীয় সড়কের ধারে বহু লরি-বে রয়েছে। সেখানে লরি রেখে নির্দিষ্ট সময়ে টোল প্লাজা পার করতে। টোলের রাস্তায় কেউ লরি রেখে যাতে বাইরে যেতে না পারেন সে জন্য লোহার তারের বেড়া লাগানো হচ্ছে।