লুঠে যোগ বাংলাদেশির

সোনারপুরের গয়নার দোকানের লুঠপাট ও মালিককে খুনের ঘটনায় এক মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে এক জন বাংলাদেশি নাগরিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০০
Share:

সোনারপুরের গয়নার দোকানের লুঠপাট ও মালিককে খুনের ঘটনায় এক মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে এক জন বাংলাদেশি নাগরিক। জলপথে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ডেরা থেকে সোনারপুরে এসে দোকানে লুঠ ও খুন করেছে সেই দলটি। বারুইপুরের পুলিশকর্তারা দাবি করছেন, আরও ছ’জন বাংলাদেশি নাগরিক এই ঘটনায় যুক্ত। তাদের খোঁজ চলছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দোকানে বোমা-গুলি চালিয়ে গয়না লুঠ করে দুষ্কৃতীর দল। দীপক দেবনাথ নামে দোকানমালিককে চপার দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয়। গুলি করা হয় দুই কর্মচারীকেও। পুলিশ জানায়, রাতেই ঘটকপুকুর থানা এলাকা থেকে লাভলু সর্দার নামে এক বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছে। লুঠ হওয়া গয়না উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও লাভলুকে দেখা গিয়েছে।

পুলিশ জানায়, লাভলুকে জেরা করে বাসন্তীর ধুড়ি এলাকায় বাংলাদেশি ডাকাতের ডেরার হদিস পাওয়া গিয়েছে। ওই ডেরার মালকিন, মঞ্জুলা বিবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের কথায়, বছর সাতেক আগে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা কাশেম মোল্লা বাসন্তীর মঞ্জুলাকে বিয়ে করে সেখানে থাকতে শুরু করে। কাশেম বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীর দল ধুড়িতে নিয়ে এসে রাখত সে। ওই দুষ্কৃতীদের নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের নানা এলাকায় সে ডাকাতি করেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশের দাবি, বর্ধমান, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের নানা এলাকায় কাশেমের দল ডাকাতি করেছে বলে জেরায় কবুল করেছে লাভলু। বছর দেড়েক আগে হরিদেবপুর থানা এলাকায় গয়নার দোকানে ডাকাতিতেও কাশেমের দল জড়িত। আতিয়ার রহমান নামে এক অটোচালক বাসন্তী থেকে সাত দুষ্কৃতীকে নিয়ে সোনারপুরে এসেছিল। সপ্তাহ খানেক আগে আতিয়ার ওই দোকানে নজরদারি চালিয়েছিল বলেও দাবি পুলিশের। রবিবার বাসন্তী থেকে অটোতে সাত জনকে নিয়ে সোনারপুর হাজির হয়েছিল আতিয়ার ও কাশেম।

ঘটনার পরেই আশপাশের থানাগুলিকে সর্তক করা হয়। সোনারপুর থেকে ডাকাতির পরে দুষ্কৃতীরা চার দিকে ছড়িয়ে গিয়েছিল। লাভলু সোনারপুর থেকে ভাঙড়ের ঘটকপুকুর হয়ে বাসন্তীতে পালানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে রাস্তায় পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। একটি অটোতে এক জন যাত্রীই ছিল। সন্দেহ হওয়ায় দু’জনের তল্লাশি করা হয়। লাভলুর পকেট থেকে গয়না উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় ডাকাতির কথা কবুল করেছে। এক পুলিশ কর্তার কথায়, বাকি দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা গিয়েছে। সীমান্ত এলাকার সমস্ত থানাকে সর্তক করা হয়েছে।

সোমবার খড়গপুরে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সোনারপুরের ডাকারিতর ঘটনায় আমি পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। পুলিশও রাতভর তল্লাশি চালিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন