ধৃতকে জেরায় মাদক-চক্রের চাঁইয়ের খোঁজ

কয়েক বছর আগে মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে আঁতাত গ়়ড়ে ওঠে আমজাদের। সমাজের বিভিন্ন মহলে আমজাদের পরিচিতি কাজে লাগাত মাদক-চক্র। ভিন্ রাজ্য থেকে মাদক কলকাতায় পৌঁছলে তা ছোট গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়ার ভার পড়ত আমজাদের উপরে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

প্রাক্তন ফুটবলার আমজাদ আলি খান। —নিজস্ব চিত্র।

এই প্রথম নয়। এর আগেও অন্তত তিন বার মাদক পাচারে সাহায্য করেছেন ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলার আমজাদ আলি খান। তদন্তে নেমে এমনই জানতে পেরেছেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, আমজাদকে জেরা করে এই চক্রের চাঁইয়ের হদিসও মিলেছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই মাদক পাচার চক্রের চাঁইয়ের বাড়ি হুগলির জাঙ্গিপুরে। ওই এলাকাতেই আগে থাকতেন আমজাদ। ছোটবেলা থেকেই দু’জনের পরিচিতি ছিল। ফুটবলার হওয়ার পরে আমজাদের পরিচিতি বাড়ে। তিনি চলে আসেন তপসিয়ায়। কয়েক বছর আগে মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে আঁতাত গ়়ড়ে ওঠে আমজাদের। সমাজের বিভিন্ন মহলে আমজাদের পরিচিতি কাজে লাগাত মাদক-চক্র। ভিন্ রাজ্য থেকে মাদক কলকাতায় পৌঁছলে তা ছোট গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়ার ভার পড়ত আমজাদের উপরে। এ ব্যাপারে বিশদে জানতে তাঁকে জেরা করছে পুলিশ।

১৮ জুলাই দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার ১২ নম্বর ডক গেটের সামনে থেকে একটি মাদক বোঝাই ট্রাক আটকান কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের অফিসারেরা (এসটিএফ)। তাতে ৪৫টি বাক্সের মধ্যে ৫৪৫ কেজি গাঁজা ছিল। ওই গাড়ি থেকেই আটক করা হয় কলকাতা ময়দানের তিন বড় ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড় আমজাদকে। ধরা পড়ে বলবিন্দর সিংহ, হরপ্রীত সিংহ ও অমিত রাই নামে আরও তিন জন। তারা ওই ট্রাকের চালক।

Advertisement

তদন্তকারীদের কাছে আমজাদ দাবি করেছেন, খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতার অভাব দেখা দেয়। সেই সমস্যা কাটাতে জাঙ্গিপুরের ওই বাসিন্দা তাঁকে মাদক পাচারের কাজে লাগান। এক-এক বার পাচারের জন্য দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পেতেন আমজাদ। তিনি মূলত শহরের মধ্যেই কাজ করতেন।

প্রাথমিক ভাবে ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, অসম কিংবা মণিপুর থেকে ট্রাকে চাপিয়ে মাদক পাঠানো হত কলকাতায়। ডানকুনির কাছে ওই ট্রাক পার্কিং করা হত। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকত ছোট ছোট মালবাহী গাড়ি। প্যাকেট করা মাদক তোলা হত ছোট গাড়িতে। পরে তা পৌঁছত শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা এজেন্টদের হাতে। শহরে ওই মাদক পাচার চক্রের এজেন্ট কারা তা-ও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানায়, পঞ্জাবের বাসিন্দা বলবিন্দর, হরপ্রীতরা দাবি করেছেন, তাঁরা নিজের রাজ্য থেকে মাল নিয়ে মণিপুর গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সেখানে একটি পেট্রল পাম্পে আলাপ হয় পঞ্জাবেরই এক বাসিন্দার সঙ্গে। ধৃতদের আরও দাবি, ওই বাসিন্দাই কলকাতায় ওই প্যাকেট বোঝাই মাল পৌঁছে দিতে বলেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন