চেক ভাঙাতে গিয়ে উদ্ধার ‘অপহৃত’

তদন্তে পুলিশ বালির ওই কম্পিউটার সেন্টার থেকে চিন্ময়ের সোনারপুরের একটি ঠিকানা পায়। সেই সূত্রে খোঁজ মেলে তাঁর বান্ধবীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০১:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বান্ধবীর পাঠানো দু’লক্ষ টাকার চেক ভাঙাতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এক যুবক। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে সন্ধান মিলল তাঁর। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাদের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সোলেমনপুরের বাসিন্দা, কম্পিউটার শিক্ষক চিন্ময় দাস (২৮) গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির একটি ব্যাঙ্কের সামনে থেকে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, বালির একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাত মাস ধরে চাকরি করছেন চিন্ময়। বছর দেড়েক আগে মুর্শিদাবাদের একটি কম্পিউটার সেন্টারে তিনি চাকরি করতেন।

চিন্ময়ের বাবা জিতেন্দ্রবাবুর দাবি, ‘‘শনিবার সকালে ছেলেই ফোন করে জানায়, ওকে অপহরণ করে জলঙ্গিতে আটকে রেখেছে। ছ’লক্ষ মুক্তিপণ পেলে অপহরণকারীরা ছাড়বে।’’ পেশায় চাষি জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘ছেলে বারবার ফোনে টাকা পাঠাতে বলছিল। এত টাকা জোগাড় করতে পারব না শুনে তিন লক্ষ টাকা দিতে বলে।’’ সোমবার সকাল থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি বালি থানার ওসি-কে ফোন করে ঘটনাটি জানান।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ বালির ওই কম্পিউটার সেন্টার থেকে চিন্ময়ের সোনারপুরের একটি ঠিকানা পায়। সেই সূত্রে খোঁজ মেলে তাঁর বান্ধবীর। ওই তরুণী পুলিশকে জানান, মুক্তিপণের টাকা জোগাড়ের জন্য চিন্ময় তাঁর সঙ্গেও মাঝেমধ্যে যোগাযোগ করছেন। সোমবার দুপুরে পরিচিত এক বাসচালকের মাধ্যমে একটি চেক জলঙ্গিতে পাঠিয়েছেন তরুণী। এ দিন সকালে ওই চেক নিয়ে চিন্ময়ের ব্যাঙ্কে যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও পুলিশকে তরুণী জানান। বালি থানার পুলিশের থেকে বিষয়টি জেনে ব্যাঙ্কের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন জলঙ্গি থানার অফিসারেরা। যুবক ব্যাঙ্কে ঢুকতেই তাঁকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, ছবি থাকায় শুধু চিন্ময়কেই চিহ্নিত করা গিয়েছিল। আর কেউ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কি না, তা বোঝা যায়নি। চিন্ময়কে জেরা করে সত্য জানার চেষ্টা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement