বেড়া কেন গাছতলায়? 

গোটা তল্লাট ঘিরে ফেলেছে পুলিশের গার্ডরেল। রয়েছে সাইনবোর্ড, তাতে ওই চত্বরে সৌন্দর্যায়নের কথা বলা হয়েছে। তবে ডিসি (সাউথ) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘‘কোথায়, কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৪
Share:

অ্যাকাডেমির সামনে গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা। নিজস্ব চিত্র

কয়েক দিন আগে ভাষা দিবসের প্রাক্কালে রাতভর অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল ওই তল্লাটেই। গত কয়েক বছরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পঁচিশে বৈশাখ উদ্‌যাপন থেকে কলকাতার বহু স্মরণীয় প্রতিবাদ-সভারও স্মারক ওই প্রকাশ্য মঞ্চ। রবিবার সকাল থেকেই অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনের সেই বিখ্যাত গাছতলা বা ছাতিমতলার দৃশ্যপট পাল্টে গিয়েছে।

Advertisement

গোটা তল্লাট ঘিরে ফেলেছে পুলিশের গার্ডরেল। রয়েছে সাইনবোর্ড, তাতে ওই চত্বরে সৌন্দর্যায়নের কথা বলা হয়েছে। তবে ডিসি (সাউথ) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘‘কোথায়, কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’ পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ওই চত্বরে উটকো গাড়ি ঢুকিয়ে হুটহাট পার্কিংয়ের প্রবণতা রুখতেই বেড়ার প্রহরা। অন্য একটি পুলিশি সূত্রের ব্যাখ্যা, ওই চত্বরে নেশাভাঙ করা তরুণদের হটাতেই বেড়া বসানো হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে অবশ্য ওই বেড়া পাহারা নিয়ে সরাসরি কিছু বলা হচ্ছে না। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম থেকে তথ্যসংস্কৃতি সচিব বিবেক কুমার সবারই এক কথা, ‘‘কিছু জানি না!’’ ফলে, কিছু প্রশ্ন দানা বাঁধছে।

গাছতলায় বহু অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ইমানুল হক বলেন, ‘‘১৯৯৯ থেকে ওখানে নানা দাবিতে অনুষ্ঠান করছি। ২০০৯-এ পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী মঞ্চ গড়ে দিয়েছিলেন।’’ পুলিশি সূত্রের খবর, ২০১৩ থেকে ওই চত্বরে অনুষ্ঠানের জন্য হেস্টিংস থানা বা লালবাজারের অনুমতি নিতে হয়। শীতের মরশুমে গাছতলার মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগে থাকে। ঘটনাচক্রে, ২০১৪-য় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হোক কলরব’ মিছিলও গাছতলা থেকেই শুরু হয়েছিল। সারদা-কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু হওয়ার পরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার প্রতিবাদে মিছিলে ওই চত্বরেই জড়ো হয়েছিলেন শাসক দলের অনুগত বিনোদন-জগতের তারকারা। আবার কয়েক দিন আগে অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’ অজ্ঞাতকারণে হল থেকে সরানোর প্রতিবাদে সেই বিনোদন-জগতের বিশিষ্ট মুখেরাই অ্যাকাডেমির সামনে জড়ো হয়েছিলেন। সংস্কৃতি জগতের একাংশের ধারণা, এর পরেই সৌন্দর্যায়নের নামে জায়গাটি ‘দখল’ করতে প্রশাসন তৎপর। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সরকারি তরফে অবশ্য কিছু বলতে চাওয়া হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন