Watgunge Case

২৪ ঘণ্টা পর ওয়াটগঞ্জের মৃত যুবতীর পরিচয় মিলল, তিন দিন নিখোঁজ ছিলেন, জানাল পরিবার

মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে এক যুবতীর দেহের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৬
Share:

ওয়াটগঞ্জের মৃত যুবতীর পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। — ফাইল চিত্র।

২৪ ঘণ্টা পর ওয়াটগঞ্জে উদ্ধার হওয়া যুবতীর পরিচয় জানা গেল। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতীর নাম দুর্গা সরখেল। বয়স আনুমানিক ৩২। তিনি থাকতেন বন্দর এলাকায়। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলেই পুলিশকে জানিয়েছে মৃতার পরিবার।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে এক যুবতীর দেহের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের কিছু অংশ উদ্ধার হলেও তাঁর তলপেটের অংশ, হাত এবং পায়ের পাতা ছিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কে ওই যুবতী, কেন তাঁকে খুন করা হল— তা নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। অবশেষে সেই হদিস মিলল।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গার দেহ শনাক্ত করেছেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। ২০০৭ সালে পশ্চিম বন্দর এলাকার বাসিন্দা ধোনি সরখেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দুর্গার বাড়িতে স্বামী ছাড়াও রয়েছেন শাশুড়ি, দেওর এবং ননদ। মৃতার একটি পুত্রও আছে। কেন দুর্গাকে খুন করা হল, এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

বাড়ি লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ রয়েছে কি না তাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। দুর্গার দেওর নীলাঞ্জন সরখেলকে রাতে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মৃতার স্বামী মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি রয়েছে। তাঁকে রিহ্যাবেও পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে ওয়াটগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে দুর্গার টুকরো টুকরো দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহাংশগুলি তিনটি কালো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখা ছিল। কে বা কারা যুবতীকে খুন করলেন, কখন, কী ভাবে দেহ ওই এলাকায় ফেলা হল, বাকি দেহাংশই বা কোথায়— সেই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, উদ্ধার হওয়া কালো প্লাস্টিকের একটিতে যুবতীর কাটা মাথা রাখা ছিল। সেই মাথায় সিঁদুরও পরা ছিল। কপালে ছিল টিপ।

পুলিশ সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। দেহাংশগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে। আপাতত পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল তাঁর দেহ উদ্ধারের ১০ ঘণ্টা আগে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুর্গার গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। সাধারণত ধারালো ছুরিতে এই ধরনের সরু কাটা দাগ হয়। তবে তাঁর শরীরের বাকি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাটার জন্য চপার অথবা করাত ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও পুলিশ নিশ্চিত, ঘটনাস্থলে এই কাজ করা হয়নি। অন্যত্র এই কাজ সম্পন্ন করে ওয়াটগঞ্জে এনে ফেলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন