‘এক ঘণ্টা’র জটেই আটকে পুলিশ

অনিন্দিতার আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগের অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই এখন নাস্তানাবুদ হচ্ছে পুলিশ। তাঁর দাবি, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশ তদন্তে ভাল ভাবে সক্রিয় হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১০
Share:

স্ত্রী অনিন্দিতার সঙ্গে মৃত আইনজীবী রজত দে।—ফাইল চিত্র।

পুলিশের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে মাত্র এক ঘণ্টা সময়। ওই সময়ের ঘটনাক্রমকে সাজাতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কারণ, মৃত আইনজীবী রজত দে-র স্ত্রী অনিন্দিতার বয়ানে বেশ কিছু ধন্দ তৈরি হয়েছে। সেই রহস্যের জট কী ভাবে খোলা যাবে, বুঝতে পারছেন না দুঁদে অফিসারেরাও।

Advertisement

অনিন্দিতার আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগের অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই এখন নাস্তানাবুদ হচ্ছে পুলিশ। তাঁর দাবি, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশ তদন্তে ভাল ভাবে সক্রিয় হয়। যার মানে দাঁড়ায়, প্রথমে পুলিশেরও ঘটনাটিকে খুন বলে মনে হয়নি এবং আপাতদৃষ্টিতে সন্দেহজনক কিছু চোখেও পড়েনি। কিন্তু ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে তাদের তৎপরতা বাড়ে।

পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত অমানবিক আচরণের অভিযোগও তুলেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর দাবি, শুক্রবার অনিন্দিতার বাবা ও মা তাঁদের নাতিকে নিয়ে নিউ টাউন থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু অনিন্দিতাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এর আগেও এক বার অনিন্দিতার সঙ্গে তাঁর আইনজীবীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অনুমতি মিললেও একাধিক পুলিশকর্মী সেখানে হাজির ছিলেন। অনিন্দিতাকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুলিশ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Advertisement

পুলিশ অবশ্য বেশি চিন্তিত ঘটনার পুনর্নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে রজত হোয়াট্সঅ্যাপে চ্যাট করেছিলেন। তার পরের এক ঘণ্টার মধ্যেই যাবতীয় ঘটনা ঘটে। কারণ, অনিন্দিতা যে সময়ে রজতকে দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন, তা ওই চ্যাটের এক ঘণ্টা পরে। কিন্তু ওই সময়টুকুর মধ্যে ঠিক কী ঘটেছিল, সেটাই রহস্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement