মূর্তি হটিয়ে উল্টোডাঙা মেন রোডে ফের বসল পুলিশ কিয়স্ক

পরদিন সেই জায়গাতেই বিধানচন্দ্র রায়ের একটি মূর্তি বসানোর তোড়জোড় শুরু হল। ঘটনাটি উল্টোডাঙা মেন রোডের। বুধবার সন্ধ্যা এবং বৃহস্পতিবার পরপর এমন ঘটায় অস্বস্তিতে পড়েন কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ১৫:০০
Share:

নির্দেশ: বেদিতে বসানোর জন্য চলে এসেছিল বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিও। বাদ সাধল প্রশাসন। এই বেদি ভেঙে তাই পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশের কিয়স্ক। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের সামনেই পুলিশের কিয়স্ক তুলে ফেলে দিয়েছিল একদল যুবক। পরদিন সেই জায়গাতেই বিধানচন্দ্র রায়ের একটি মূর্তি বসানোর তোড়জোড় শুরু হল। ঘটনাটি উল্টোডাঙা মেন রোডের। বুধবার সন্ধ্যা এবং বৃহস্পতিবার পরপর এমন ঘটায় অস্বস্তিতে পড়েন কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী। এই ঘটনা মেনে নিতে না পেরে তিনি প্রতিবাদ জানান পুর প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনের নির্দেশে অবশেষে শুক্রবার পুরনো জায়গায় ফিরল সেই কিয়স্ক।

Advertisement

অমলবাবুর অভিযোগ ছিল, ওই রাস্তার কিছু নির্মাণের আগে পুরসভার অনুমতি নেওয়া উচিত। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। এমন কাজে তার দলেরই কিছু সমর্থক-কর্মী যুক্ত থাকায় বাড়তি অস্বস্তি প্রকাশ করেন ওই কাউন্সিলর। কিন্তু এত কিছুর পরেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে লালবাজারের একাধিক কর্তা ‘তেমন কিছু নয়’ বলেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।

বুধবার রাতেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও পুরো বিষয়টি জানান স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। শুক্রবার তা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এ দিন বিকেলে সেই কিয়স্ক ফের বসানো হয় আগের জায়গায়। এ দিকে ওই বেদিতে বসানোর জন্য চলে এসেছিল বিধানচন্দ্র রায়ের আবক্ষ মূর্তি। তা আর বসানো যায়নি। পুলিশের নির্দেশে ওই মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় উদ্যোক্তাদের। মেয়র শোভনবাবু বলেন, ‘‘রাস্তার ওই জায়গায় পুলিশের কিয়স্ক ছিল। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে সেটা জরুরি। তাই পুলিশকে ফের তা বসাতে বলা হয়েছিল।’’ তিনি জানান, রাস্তার উপরে এ ধরনের মূর্তি বসানোর প্রবণতা বন্ধ করা দরকার। সেটা ওই উদ্যোক্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু শহরের সব প্রান্তে কি এই নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখতে পারে পুর প্রশাসন?

এ বিষয়ে পুরসভার একাধিক অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য, শহরের একাধিক রাস্তায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। সব ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতা-কর্মীরা যুক্ত থাকায় পুলিশ এবং প্রশাসনকে নীরব থাকতে হয়। কোনও ক্ষেত্রে উপরওয়ালা কিছু দেখেও দেখেন না, কোনও ক্ষেত্রে আবার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন