অভিযোগ দায়ের করার পরে ১৯ দিন ও এফআইআর হওয়ার পরে ১১ দিন অতিক্রান্ত। বিমানের টিকিট প্রতারণার ঘটনায় এখনও অভিযুক্তের নাগাল পেল না পুলিশ।
তবে অভিযোগকারিণীর দাবি, পুলিশ তাঁকে জানিয়েছে, দ্রুত অভিযুক্তকে ধরা হবে। অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন বিহারে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় করা হচ্ছে। লালবাজারের এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
১৩,৫০০ টাকায় ১২টি বিমানের টিকিট পাবেন বলে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ কসবার বাসিন্দা অনসূয়া চক্রবর্তীর। গত ২৬ নভেম্বর সুরঞ্জন নন্দী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। অনসূয়ার দাবি, সুরঞ্জন তাঁকে জলের দরে বিমানের টিকিট কেনার প্রস্তাব দেন। প্রথম দফায় মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ১২টি টিকিট কেনেন অনসূয়া। ওই টিকিটে তিনি জয়পুর, পুণে এবং মুম্বই যান।
বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর বন্ধু ও আত্মীয়েরা সুরঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনসূয়ার দাবি, ‘‘যাঁরা
টিকিট কেটেছেন, তাঁরা নিজেরাই সুরঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমি মধ্যস্থতা করিনি। কেউ পাওনাদারের মতো আমার পিছনে ঘুরছেনও না।’’ অনসূয়ার দাবি, দ্বিতীয় দফায় টিকিট কাটতে গিয়ে তিনি নিজেও প্রতারিত হয়েছেন।