পরনে সালোয়ার কামিজ। অথচ হাতে ব্যাগ বা অন্য কিছু নেই। স্টেশন চত্বরে অনেকক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করছিলেন বছর কুড়ির তরুণী। সোমবার ভরসন্ধ্যায় তাঁকে দেখে রেল পুলিশের এক কর্মী জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কাঁদতে শুরু করে দেন তিনি। পরে থানায় গিয়ে জানান, চার জন অপরিচিত লোক তাঁকে এন্টালি থেকে তুলে এনে শ্লীলতাহানির পরে স্টেশনের বাইরে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছে। দিল্লির বাসিন্দা ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে তদন্তে শুরু হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগে ওই তরুণী জানান, ৩১ মার্চ তাঁর দিদি ও বোনপোকে আনতে দিল্লি আসেন জামাইবাবু, সোনারপুরের সৌকত আলি। দিল্লিতে থাকাকালীন এক দিন সৌকত তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে জামা মসজিদের কাছে একটি খালি বাসে ধর্ষণ করে। পরে দিল্লি থেকে অজমেঢ় শরিফ হয়ে তাঁকে কলকাতায় এনে গার্ডেনরিচের বিচালি ঘাটের কাছে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। তরুণীর অভিযোগ, সেখানেও সৌকত তাঁকে ধর্ষণ করে ও পরে সঙ্গে রাখা সম্ভব নয় জানিয়ে এন্টালিতে দিদিমার কাছে রেখে চলে যায়। সেখানে থাকাকালীনই ১১ এপ্রিল থানায় গিয়ে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন বলে জেনেছে পুলিশ।
তরুণীর অভিযোগ, সোমবার এন্টালির বাড়ি থেকে জিনিসপত্র কিনতে বেরোলে আচমকা একটি কালো গাড়ি তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়। তাঁকে টেনে গাড়িতে তোলা হয়। এমনকী জোর করে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার পাশাপাশি দু’মাস আগে করা ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য না দেওয়ার হুমকিও দেয়। সন্ধ্যায় স্টেশনের বাইরে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশকে জানান ওই তরুণী। আজ, বুধবার ধর্ষণের মামলার সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার কথা তাঁর। তার আগেই ফের এই অপহরণের অভিযোগে হাওড়া রেল পুলিশ ও কলকাতা পুলিশও নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।