ছবি: সংগৃহীত।
পড়াশোনায় একেবারে মন নেই ছেলের। এমনকী সকালে স্কুল যাওয়ার সময় কাউকে না জানিয়েই সে টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। আর তাই ছেলে বাড়ি ফিরতেই তাকে মারধর করেন বাবা। এর পরেই বাড়ি থেকে পালিয়েছিল বারো বছরের ছেলেটি। শেষে হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করল পুলিশ ও পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড়ে।
পুলিশ জানায়, বেলুড় এলাকার খামারপাড়ার বাসিন্দা ছোটকা যাদবের ছেলে আমন। সে বালি পাঠকপাড়ার একটি বেসরকারি ইংরাজী মাধ্যম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সকালে অনেক বকাবকি করে আমনকে স্কুলে পাঠান তার মা উর্মিলাদেবী। এর পরে পেশায় গাড়ি চালক ছোটকা দেখেন কাউকে কিছু না জানিয়েই ছেলে তাঁর পকেট থেকে ১২০টাকা নিয়ে গিয়েছে। বিকেলে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফিরতেই আমনকে টাকার কথা জিজ্ঞাসা করেন তার বাবা।
ছোটকা পুলিশকে জানান, প্রথমে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি আমন। কিন্তু বাবার বকা খেয়ে শেষে সে জানায়, টাকা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল।
এক দিকে ছেলে ঠিক মতো পড়াশোনা করছে না তার উপরে না বলে টাকা নিয়েছে— এই রাগে তাকে বেধড়ক মারেন ছোটকা। এর পর ছেলেকে পড়তে বসতে বলে তিনি কাজে চলে যান। সে সময় উর্মিলাদেবীও বাড়িতে ছিলেন না। ছিল শুধু আমনের ছোট বোন। সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে উর্মিলাদেবী দেখেন বাড়িতে আমন নেই। প্রথমে ভেবেছিলেন ছেলে কোথাও খেলতে গিয়েছে। কিন্তু রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেন। সন্ধান না মেলায় বেলুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিজনেরা। তদন্তে জানা যায়, বিকেলে বেলুড় স্টেশনে দেখা গিয়েছে আমনকে। রাতে হাওড়া স্টেশনে গিয়ে তল্লাশি করে দেখা যায়, ৮নম্বর প্ল্যাটফর্মের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের এক কোণে বসে রয়েছে ছেলেটি। সে জানায়, বাবা আরও মারতে পারে, এই ভয়েই সে এ দিক ও দিক ঘুরছিল। তখনই এক ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে সে হাওড়া স্টেশনে চলে গিয়েছিল।