সম্বুদ্ধের স্কুলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলল পুলিশ

লালবাজারের হোমিসাইড শাখার সঙ্গেও এ নিয়ে থানার তরফে কথা বলা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

সম্বুদ্ধ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র।

সপ্তাহ ঘুরতে চলল, অথচ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন স্কুলের পড়ুয়া সম্বুদ্ধ ঘোষের (৪) মৃত্যু-রহস্যের কিনারা হল না। শিশুটির পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের একাংশ। যদিও পুলিশের দাবি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবারই সম্বুদ্ধের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন আলিপুর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার সঙ্গেও এ নিয়ে থানার তরফে কথা বলা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

Advertisement

গত ২০ ফেব্রুয়ারি আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতাল চত্বরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে জলাধারে ডুবে মৃত্যু হয় সেখানকারই ছাত্র সম্বুদ্ধের। পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনার দিন যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল সেই নামের তালিকা পুলিশকে দেয়নি। এর পরেই এ দিন তদন্তকারীদের একটি দল ওই স্কুলে যায়। তাঁরা সরাসরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন।

এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ঘটনার দিন স্কুলে কে কে ছিলেন এবং তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, সব কিছুই বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এ দিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যে উত্তর পাওয়া গিয়েছে, তার সত্যতাও যাচাই করা হচ্ছে।’’ যদিও বিষয়টি নিয়ে এ দিনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি সম্বুদ্ধের স্কুলের প্রিন্সিপাল সুদেষ্ণা বসু। সেনার তরফেও শুধু জানানো হয়েছে, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও স্কুলের কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। যিনি সম্বুদ্ধকে স্কুলের জলাধারে প্রথম ভাসতে দেখেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও এ দিনই কথা বলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, শিশুটিকে খুঁজতেই তিনি ওই ঘরে ঢুকেছিলেন। একই সঙ্গে খবর, চলতি সপ্তাহে অভিযুক্ত তিন শিক্ষিকার সঙ্গেও কথা বলতে পারে পুলিশ।

এ দিকে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করা একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে এ দিন এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল ইএম বাইপাসের একটি মনোবিকাশ কেন্দ্রে। সেখানে একটি কমিটি তৈরি করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভাব-অভিযোগ নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানিয়েছেন আলোচনাচক্রের অন্যতম উদ্যোক্তা সৌমেন উপাধ্যায়। পাশাপাশি আজ, বুধবার বিকেলে আলিপুর-গোপালনগর মোড় থেকে আলিপুর থানা পর্যন্ত মৌন মিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন