Nimta

মা-মেয়ের শেষকৃত্যের দায়িত্বে পুলিশ ও পুরসভা

সোমবার গভীর রাতে নিমতার দক্ষিণ প্রতাপগড়ে এক চিলতে ঘরে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হয় মা স্মৃতি দাশগুপ্ত (৭৮) এবং বড় মেয়ে কল্যাণী দাশগুপ্তের (৪৫)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৪:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

থানা মারফত বারবার খবর দিলেও আসেননি আত্মীয়েরা। দৃষ্টিহীন ছোট মেয়ের পক্ষেও সম্ভব ছিল না মা ও দিদির শেষকৃত্যের আয়োজন করা। এগিয়ে আসেননি পরিচিতেরাও। অগত্যা ওই দু’জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল পুলিশ, পুরসভা ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে। বুধবার সন্ধ্যায় কামারহাটি পুরসভার আড়িয়াদহ শ্মশানঘাটে দাহ করা হল তাঁদের।

Advertisement

সোমবার গভীর রাতে নিমতার দক্ষিণ প্রতাপগড়ে এক চিলতে ঘরে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হয় মা স্মৃতি দাশগুপ্ত (৭৮) এবং বড় মেয়ে কল্যাণী দাশগুপ্তের (৪৫)। কোনও মতে বেঁচে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে ঠাঁই হয়েছে স্মৃতিদেবীর ছোট মেয়ে সাথী ঘোষ ও নাতনি ঝিলিকের। তাঁরা চার জনই দৃষ্টিহীন। দেহ দু’টি উদ্ধারের পর থেকেই শেষকৃত্য নিয়ে পুরসভা, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করে। সাথীর থেকে তাঁর এক মামার খোঁজ মিলেছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর সৌমেন দত্ত বলেন, ‘‘বীজপুর থানার মাধ্যমে কয়েক বার তাঁকে খবর দিলেও কেউ আসেননি। অগত্যা আমরাই সব করেছি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকালেই নিমতা থানা থেকে পুলিশ কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ময়না-তদন্তের তদারকি করে। এর পরে পুলিশ এবং পুর প্রশাসন ময়না-তদন্তের পরে দু’টি দেহ কী ভাবে শ্মশানে নেওয়া হবে তা নিয়েও উদ্যোগী হয়। কামারহাটি পুরসভার কয়েক জন কর্মী, স্থানীয় যুবক এবং মেয়ে সাথীকে নিজেদের খরচেই মর্গে পাঠায় পুরসভা। সেখান থেকে দেহ দু’টি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘এমন বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। তাই সকলে মিলে কাজটি করা হয়েছে।’’ এ দিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা সাথীদের পুড়ে যাওয়া বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করেন।

Advertisement

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন