দুর্ঘটনার তিন দিন পরেও অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। বিক্রমের পরিবার সূত্রের খবর, তিনি এখনও ট্রমায় আছেন। দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তবে তাঁর বান্ধবী সোনিকা সিংহ চৌহান যে বেঁচে নেই, মঙ্গলবার সে কথা বিক্রমকে জানানো হয়েছে বলেই জানান বাবা বিজয় চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার ভোরে রাসবিহারীর কাছে একটি পথ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সোনিকা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বিক্রম। তাঁকে আহত অবস্থায় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গাফিলতির জেরে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ দায়ের করেছে সোনিকার পরিবার। তবে পুলিশ দুর্ঘটনার দিনই বিক্রমের বিরুদ্ধে ওই ধারায় মামলা রুজু করেছিল।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, তদন্ত চলছে। ৩০৪এ ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে। সোনিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অন্য কোনও ধারা যোগ করা যাবে কি না, খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ময়না-তদন্তের পরে দুর্ঘটনায় মৃত সোনিকা সিংহ চৌহানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মঙ্গলবার।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ভবানীপুরের একটি হোটেলের পার্টি থেকে সোনিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন বিক্রম। কসবার দিক থেকে রাসবিহারীর দিকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেক মার্কেটের একটি মলের কাছে ফুটপাথে উঠে পড়ে গাড়িটি। সোজা ধাক্কা মারে সিমেন্টের একটি বেদিতে। গতি বেশি থাকায় সেই বেদি পার করে একটি দোকানের দেওয়ালে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তার পরে পুরো উল্টে গিয়ে রাস্তায় পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়।