নার্কো পরীক্ষায় রাজি মৃতার ভাই

সম্মতি দানের পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জয়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিদির খুনের কিনারা করতে নার্কো-অ্যানালিসিসে রাজি হলেন ভাই। আদালতের বিচারকের কাছে বৃহস্পতিবার লিখিত হলফনামা দিয়ে নার্কো-অ্যানালিসিস পরীক্ষায় সম্মতি দেন জয় দাসচৌধুরী। সম্মতি দানের পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবরের বাসিন্দা চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর খুনের ঘটনায় তদন্তকারীরা তাঁর ভাই জয়ের নার্কো-অ্যানালিসিস পরীক্ষা করাতে চেয়ে আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পুলিশের সেই আবেদন প্রথমে খারিজ করে দেন বিচারক। পরে তদন্তকারীরা জেলা দায়রা আদালতে নতুন করে নার্কো-অ্যানালিসিস পরীক্ষার আবেদন জানান। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানি হয় ১৬ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শান্তনু মিশ্রের এজলাসে। সেখানেই চান্দ্রেয়ীদেবীর ভাই ওই পরীক্ষায় সম্মতি জানান। মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিজের আইনজীবীকে নিয়ে লিখিত হলফনামা দিয়ে নার্কো-অ্যানালিসিসে সম্মতি দিয়েছেন জয়।’’
গত ২২ মে রবীন্দ্র সরোবরের বাসিন্দা চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীকে অচৈতন্য অবস্থায় এসএসকেএমে নিয়ে যান তাঁর ভাই জয় এবং মা। তাঁরা জানান, ঘর থেকে চান্দ্রেয়ীদেবীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেছেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে চান্দ্রেয়ীদেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিয়ম অনুযায়ী, ঘটনাটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে ভবানীপুর থানায় জানিয়ে দেয় এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।
ময়না-তদন্তের পরে দেহও তুলে দেওয়া হয় চান্দ্রেয়ীদেবীর ভাই ও মায়ের হাতে। কিন্তু প্রায় ৫০ দিন পরে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে জানা যায়, চান্দ্রেয়ীদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এর পরেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি খুনের মমলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ।
কিন্তু পুলিশ জানায়, এত দিন পরে তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল থেকে কোনও নুমনাই মেলেনি। ফলে কে চান্দ্রেয়ীদেবীকে খুন করেছে, তা জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। একাধিক বার জেরা করা হয় চান্দ্রেয়ীদেবীর ভাই এবং মাকে। কিন্তু তাতে তদন্ত বিশেষ এগোয়নি।

পুলিশের দাবি ছিল, জয়ের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, পরিচিত কেউ ওই খুনের ঘটনায় জড়িত। তাই মৃতার ভাইয়ের নার্কো-অ্যানালিসিস পরীক্ষা চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন